করোনা-আতঙ্কের মধ্যেও সংখ্যালঘুদের একহাত নিলেন দিলীপ, মমতাকেই করলেন দায়ী
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন গোটা দেশ ত্রস্ত, তখনও সংখ্যালঘুদের একহাত নিতে ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, গোটা দেশে লকডাউন চলছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন গোটা দেশ ত্রস্ত, তখনও সংখ্যালঘুদের একহাত নিতে ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, গোটা দেশে লকডাউন চলছে। কিন্তু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী মোদী লকডাউন ঘোষণা করেছেন, কিন্তু সংখ্যালঘুদের একাংশ তা মানছেন না।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় লকডাউন অমান্য
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। সংখ্যালঘু এলাকায় রাস্তায় প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। বর্তমান অবস্থায় বিধিনিষেধ মেনে না চললে, তা সমাজের পক্ষে মারাত্মক হতে পারে। সবাইয়ের উচিত সতর্কতা বজায় রেখে চলা। তা না হলে একটা ভুলের খেসারত দিতে হবে গোটা রাজ্যকেই।
দিলীপের সতর্কতা ও আবেদন
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, এই ভাইরাস জাত-ধর্ম মেনে সংক্রমণ ছড়াবে না। যে মানুষ সতর্ক হবে না, তিনিই করোনার জন্য সাংঘাতিক হবেন। তিনি শুধু নিজের ক্ষতি করবেন না, ক্ষতি করবেন গোটা সমাজের। তাই তাঁর আবেদন সবাই বাড়িতে থাকুন, করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে দিন বাড়িতে থেকে।
মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন দিলীপ
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকেও একহাত নেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, লকডাউন মানছেন না এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই। মুখ্যমন্ত্রীই যদি আইন ভাঙেন, তবে রাজ্যের সাধারণ মানুষ আইন মানবেন কেন!
করোনায় যখন লকডাউন
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস রুখতে যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছে. তখন মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ভরসা জোগাতে কখনও হাসপাতাল কখনও বাজারে গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনছেন। আবার লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় নেমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।
দিলীপের ভিডিও বার্তা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণে বিশ্বের উন্নত সব দেশ মুখ থুবড়ে পড়েছে শুধু সচেতনতার অভাবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সব জেনেও রোজ রাস্তায় নামছেন। লোক নিয়ে ঘুরছেন। মুখ্যমন্ত্রী এভাবে আইন ভেঙে ঠিক করছেন না। তাঁর এই ভূমিকা সাধারণ মনে প্রভাব ফেলবে।