শোভন-ভারতীকে দেখে শেখার পরামর্শ দিলীপের, তৃণমূলকে খোঁচায় কাদের দিলেন বার্তা
তৃণমূলকে খোঁচায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, একবার শোভন চট্টোপাধ্যায় আর ভারতী ঘোষের অবস্থা দেখুন। শিক্ষা নিন, ওদের অবস্থা দেখে। ভাবুন, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের শক্তিক্ষয়ের দিনেও রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলকে খোঁচায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, একবার শোভন চট্টোপাধ্যায় আর ভারতী ঘোষের অবস্থা দেখুন। শিক্ষা নিন, ওদের অবস্থা দেখে। ভাবুন, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে।
[আরও পড়ুন: ভাঙন অব্যাহত বিরোধী শিবিরে, বিধায়কের পর এবার কারা যোগ দিলেন তৃণমূলে]
দিলীপবাবু বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়-ভারতী ঘোষরা তো আর কম প্রভাবশালী ছিলেন না, ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোকও। তবু তাঁদের এমন হাল হল! শোভনবাবু তো নাকি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বলেন দাবি করছেন। উনি দুটি জেলার সভাপতি, মেয়র, বিধায়ক, তিনটি দফতরের মন্ত্রী- তবু নাকি উনি নিঃস্ব! এভাবেই তিনি কটাক্ষ করেন মেয়রকে।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে দিলীপবাবু তৃণমূলের প্রভাব হারানো নেতাদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে অন্য নেতাদের সাবধান করে দেন। বলেন, ওঁদের দেখে শিখুন, আপনাদের কী হাল হতে পারে। বুঝুন আপনাদের জন্য কেমন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
অরপর তিনি বলেন, 'অনেকে এখন বিজেপি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু যাঁরা ছেড়ে যাচ্ছে, তাদের কী অবস্থা হয়, তা দেখবেন। বিজেপি ছে়ড়ে যাঁরা যাবে, তাঁদেরকে পাবলিকও ছেড়ে যাবে। যাঁরা ছেড়ে যাচ্ছে তাঁদের ইতিহাস সবাই জানে। তিনি স্পষ্ট করে দেন, বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপি থেকে যাবে। থাকবে এনডিএ-ও।'
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, 'যাঁরা যাচ্ছেন যান, বহু মানুষ আমাদের সঙ্গে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। একটা নির্বাচন হোক, বুঝতে পারবেন।' এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কুণাল ঘোষের যাওয়া প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা সবকিছু লক্ষ্য রাখছি। কে কোথায় যায়, সব আমাদের নখদর্পণে। ভবিষ্যৎই এর উত্তর দেবে।'
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে ছেড়ে মমতা-সখ্যে আরও এক মুখ্যমন্ত্রী! দ্রুত বদলাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ]