কার্যত হার স্বীকার করে নিলেন দিলীপ! সবং-যুদ্ধ শেষে ভোট বাড়ার তত্ত্ব বিজেপির
এতদিন সবং-এ জয়ের কথা বলে আসছিলেন বিজেপির নেতারা। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি একপ্রকার সবংয়ে হার স্বীকারই করে নিলেন।
সবং নির্বাচনের ফলাফলের ২৪ ঘণ্টা আগেই সুর বদলে গেল বিজেপির। এতদিন সবং-এ জয়ের কথা বলে আসছিলেন বিজেপির নেতারা। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি একপ্রকার সবংয়ে হার স্বীকারই করে নিলেন। শনিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন,'সবং উপনির্বাচনে বিজেপির ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।'
২১ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এ উপনির্বাচন হয়। ২৪ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের ফলাফল। তার আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য কার্যত হার স্বীকার করে নেওয়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মূলত এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের গড় বলেই খ্যাত। মানস ভুঁইয়া এখান থেকে বরাবর কর্তৃত্ব করে গিয়েছেন। বামফ্রন্ট এবং তৃণমূলের সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়েও তিনি জয়লাভ করেছেন।
কিন্তু এবার সেই মানস ভুঁইয়া কংগ্রেস শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তার ফলেই পুনর্নির্বাচন এই কেন্দ্রে। সবং উপনির্বাচনে এবার তৃণমূলের প্রার্থী মানস জায়া গীতা ভুঁইয়া। তাঁর বিরুদ্ধে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের চিরঞ্জীব ভৌমিক। বিজেপি প্রার্থী করে অন্তরা ভট্টাচার্যকে। কংগ্রেসের মতো বিজেপিও মানসের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক ইস্যুতে প্রচার চালায়। বাংলা কংগ্রেসকে না ছেড়ে এই কেন্দ্রে এবার সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। চতুর্মুখী লড়াই সত্ত্বেও এই কেন্দ্রে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের।
তবে মুকুলের বিজেপিতে যোগদান, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ও মানসের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বিজেপি এই কেন্দ্রে জয়ের অঙ্ক কষেছিল। কিন্তু নির্বাচনের পরই সুর বদলে গেল বিজেপির। মুকুল যেমন বলেছিলেন,'জয়টাই মূল লক্ষ নয়।'এখন আবার দিলীপ ঘোষ বলছেন,'সবংয়ে একমাত্র লাভবান হবে বিজেপিই।'
দিলীপবাবু এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,'সবং নির্বাচনে বিজেপি ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বিজেপিই একমাত্র এগোবে। বাকি সব দলই পিছোবে। পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতির পরিবর্তন আসন্ন, সেটা এই ভোট থেকেই প্রমাণিত হবে।'এদিন দিলীপবাবুর অভিযোগ, সবংয়ের প্রায় অর্ধেক বুথে গণ্ডগোল হয়েছে। শাসকদল চেয়েছে গন্ডগোল পাকিয়ে ভোটে জিততে।'
তিনি বলেন,'তা সত্ত্বেও আমরা লড়াই করেছি। তারপর মানুষ ভোট দিয়েছেন। ফলাফল বের হলেই বোঝা যাবে বিজেপি কী পরিবর্তন আনতে পারল সবংয়ে।'সবংয়ের উপনির্বাচন কী বার্তা দিতে সমর্থ হল সারা রাজ্যে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।