দিঘায় চিকিৎসকের চালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু! যা ব্যবস্থা নিল প্রশাসন
দিঘা ছাড়তে নিষেধ করা হল চিকিৎসক সুজয় দত্ত, তাঁর স্ত্রী পায়েল দত্ত এবং পিসতুতো ভাই টিঙ্কুকে। তদন্তের স্বার্থেই তিনজনের ওপর নজর রাখার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
দিঘা ছাড়তে নিষেধ করা হল চিকিৎসক সুজয় দত্ত, তাঁর স্ত্রী পায়েল দত্ত এবং পিসতুতো ভাই টিঙ্কুকে। তদন্তের স্বার্থেই তিনজনের ওপর নজর রাখার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। শুক্রবার দিঘার হোটেল থেকে অভিজিৎ দত্ত নামে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিজিৎ দত্তের পরিবারের সদস্যরা। অভিজিৎ দত্তের বাড়ি লিলুয়া থানার জগদীশপুর ফাঁড়ির চামরাইতে।
মৃতের দাদা সুরজিৎ দত্ত ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন চিকিৎসক সুজয় দত্ত, তাঁর স্ত্রী পায়েল দত্ত ও পিসতুতো ভাই টিঙ্কুর বিরুদ্ধে। অভিযোগেয়র পর ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলেও, তাঁদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের দিঘা ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের যে কোনও সময় ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গেছে, মাত্র একসপ্তাহ আগে হাওড়ার এক চিকিৎসকের বাড়িতে চালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে এই চিকিৎসক তাঁর স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে নিউ দিঘার হোটেলে যান। চালক অভিজিতও সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা দুটি ঘর নিয়েছিলেন। এরপর চারজনই একসঙ্গে বসে বেশ খানিকক্ষণ মদ্যপান করেন।
ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর দাবি, এরপর অভিজিত ও বাকি দুজন ওই ঘরেই শুয়ে পড়েন। তিনি উঠে পাশের ঘরে চলে যান শুতে। তাঁর অভিযোগ তিনি ঘুমিয়ে পড়ার পরই অভিজিত তাঁর ঘরে এসে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু অভিজিত বিষয়টি অস্বীকার করে ফের পাশের ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে।
চিকিৎসকের পরিবারের বয়ান অনুযায়ী ঘুম ভাঙার পর, ভোর ৬টা নাগাদ তিনজনেই হোটেলের বাইরে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। সেসময় ঘরে একাই ছিলেন অভিজিৎ। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। বারবার ধাক্কা দিয়েও অভিজিতের সাড়া না পেয়ে তাঁরা জানলা দিয়ে দেখতে পান অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ।
তারপরই দিঘা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু, এই মৃত্যু নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। চিকিৎসরের পরিবারের তিনজনের বয়ানে অসঙ্গতি আছে।
তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে, চিকিৎসক সুজয় দত্ত ও তার স্ত্রী পায়েল দত্তকে। তবে পিসতুতো ভাই টিঙ্কু ও একই ঘরে থাকায় অভিজিতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তার হাত থাকলেও থাকবে পারে বলে অনুমান পুলিশের।