বিক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' বিধায়ক জুন মালিয়া! শতাব্দীর পর এবার তৃণমূল কর্মীর ক্ষোভের মুখে সাংসদ অসিত মাল
বিক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' বিধায়ক জুন মালিয়া! শতাব্দীর পর এবার তৃণমূল কর্মীর ক্ষোভের মুখে সাংসদ অসিত মাল
দলের হালচাল জানতে এবং সরকারি সুবিধা কতটা সাধারণের নাগালের মধ্যে গিয়েছে তা জানতে দিদির দূর কর্মসূচি শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু প্রতিদিনই দিদির দূতদের সাধারণ মানুষ শুধু নন, তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভের মুথে পড়তে হচ্ছে। এদিনের সংযোজন হল জুন মালিয়া এবং অসিত মাল। যদিও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ বিরোধীরাই এইসব করাচ্ছে। পাল্টা বিরোধীদের কর্মসূচিতে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।
পটাশপুরে বিক্ষোভের মুখে জুন মালিয়া
এদিন দুপুর নাগাদ পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে যান জুন মালিয়া। সেখানে রাস্তা সারাই-এর দাবিতে সাধারণের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। গোকুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এলাকায় রাস্তাঘাটের কোনরকম উন্নয়ন হয়নি। বর্ষা এলে এক হাঁটু কাদার ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয় ওই এলাকার ৫ থেকে ৬ টি গ্রামের মানুষদনকে । জনসাধারণের আরও অভিযোগ, বারে বারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, অঞ্চল প্রধানকে জানানোর পরেও কোনও কিছুই হয়নি। তাই এদিন তাঁরা জুন মালিয়াকে সামনে পেয়ে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। এই বিক্ষোভকে সমর্থন করে জুন মালিয়া সাধারণ মানুষের সমস্ত অভাব-অভিযোগের কথা শুনে সেগুলি লিপিবদ্ধ করে শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে এলাকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জুন মালিয়া।
ময়ূরেশ্বরে বিক্ষোভের মুখে অসিত মাল
এদিন দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে বড়েন বোলপুরের সাংসদ অসিত মালও। ময়ূরেশ্বরে দলেরও কর্মী সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সাংসদের সামনে। সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন, বিধায়ককে এলাকায় পাওয়া যায় না। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, অভিযোগ জানাতে গেলে গাড়ির কাঁচ তুলে চলে যান। নবকুমার দাস নামে বয়স্ক এক ব্যক্তি নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে অভিযোগ করেন, গত ২০ বছর ধরে দল করলেও, কোনও কিছু পাওয়া তো দূরের কথা সম্মানটুকুও পাননি। বাসুদেবপুরের প্রাথমিক হাসপাতালে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ অসিত মাল। যদিও তৃণমূল বিধায়ক অভিতিৎ রায় নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আগেও তৃণমূলের নেতারা বিক্ষোভের মুখে
দিন দুয়েক আগে পাঁশকুড়ায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গত কয়েকদিনে নদিয়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণ সাহা, সাংসদ আবু তাহের খান, ঝাড়গ্রামে বীরবাহা হাঁসদা এবং পুরুলিয়ায় অর্জুন সিংকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার হাসনে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
বিক্ষোভের পিছনে রাজনীতি
তাদের দিদির দূত কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের পিছনে বিরোধীদের রাজনীতি রয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিরোধীদের কোনও কর্মসূচিতে যদি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কী হতে পারে, প্রশ্ন করেছেন তিনি।
পঞ্চায়েতের আগে আরও এক দুর্নীতি রাজ্যে! তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী