সংসদে দাঁড়িয়ে কি মিথ্যা বলেছেন? নুসরতের বিয়ে–বিতর্কে কটাক্ষ বিজেপি নেতার
নুসরতের বিয়ে–বিতর্কে কটাক্ষ বিজেপি নেতার
নুসরত জাহানের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি থেকে শুরু করে টলিউডও। বেশ কয়েকদিন ধরেই সাংসদ তারকা নুসরতের মা হওয়ার গুজবের পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে নিখিল জৈনের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নিয়েও বিতর্কে তুঙ্গে ছিল। তবে বুধবারই নুসরত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিবৃতি জারি করে জানান যে তাঁর সঙ্গে নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের সাংসদকে কটাক্ষ করা শু হয়ে যায়। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বৃহস্পতিবার নুসরতকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন যে কেন তিনি সংসদের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর ও নিখিল জৈনের বিয়ে নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছিলেন।
অমিত
মালব্য
টুইটে
বলেন,
'তৃণমূলের
সাংসদ
নুসরত
জাহান
রুহি
জৈনের
ব্যক্তিগত
জীবন,
তিনি
বিবাহিত
বা
তিনি
কার
সঙ্গে
লিভ
ইন
করছেন,
তা
নিয়ে
কারোর
মাথাব্যাথা
নেই।
কিন্তু
তিনি
একজন
নির্বাচিত
প্রতিনিধি
এবং
সংসদের
রেকর্ডে
তিনি
নিখিল
জৈনকে
বিয়ে
করেছেন
বলে
জানানো
হয়েছে।
সংসদে
দাঁড়িয়ে
তিনি
মিথ্যা
কী
করে
বললেন?’
প্রসঙ্গত,
নিখিলের
সঙ্গে
তাঁর
বিচ্ছেদ
প্রসঙ্গে
বুধবারই
নুসরত
জাহান
তাঁর
নীরবতা
ভাঙেন।
বিবৃতি
জারি
করে
তৃণমূলের
সাংসদ
জানান
যে
তাঁদের
বিয়ে
হয়েছিল
তুরস্কের
আইনে
বা
ভারতে
বৈধ
নয়।
নুসরত বিবৃতিতে এও বলেন, 'এটা যেহেতু হিন্দু–মুসলিম বিয়ে, তাই ভারতে বিশেষ বিবাহ আইনে এর বৈধতার প্রয়োজন, যা হয়নি। আইন অনুযায়ী, এটা বিয়ে নয়, কিন্তু একটা সম্পর্ক বা লিভ–ইন সম্পর্ক।’ নুসরত তাঁর বিবৃতিতে এও অভিযোগ করেছেন যে তাঁর জিনিসপত্রের মধ্যে পারিবারিক গয়না ও অন্যান্য সম্পত্তিও বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। নুসরত এও অভিযোগ করেছেন যে তাঁর গচ্ছিত অর্থ বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভুলভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং সেটা তাঁ অজান্তেই।
নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা উস্কে দিল পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে নুসরতের যোগ
২০১৯ সালের ১৯ জুন নুসরত জাহান ও রঙ্গোলি ব্র্যান্ডের কর্ণধার নিখিল জৈনের সঙ্গে তুরস্কে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং হয়। কিছু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিখিলের সঙ্গে আলাদা থাকতে শুরু করেন নুসরত। তবে নিখিল জৈন তাঁদের আলাদা থাকার খবর নিশ্চিত করেছেন। নিখিল বলেন, 'এটা বৈধ, নুসরত যা বলেছে আমি সত্যিই চাই না কোনও মন্তব্য করতে, কারণ এটা আদালতে বিচারাধীন। আমি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছি কলকাতায় এবং এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে চাই না।’ নিখিল পরে এও জানিয়েছেন যে তাঁরা ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে আলাদা রয়েছেন তাই তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করেছেন।