অধিকারী-পরিবারে তৃণমূলের একা ‘কুম্ভ’ দিব্যেন্দু! শিশিরের যোগদানের পরও দোলাচলে
অধিকারী-পরিবারে তৃণমূলের একা ‘কুম্ভ’ দিব্যেন্দু! শিশিরের যোগদানের পরও দোলাচলে
শুভেন্দু-শিশির-সৌমেন্দু সবাই একে একে তৃণমূল ছেড়েছেন। অধিকারী পরিবারের সেজ ছেলে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। যাচ্ছি যাব করেও তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। অথচ ভোট আর তিন দিন দূরে। কিন্তু কেন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না দিব্যেন্দু? স্ত্রীকে পাঠিয়ে বার্তা দিচ্ছেন অথচ নিজে যাচ্ছেন না, কী খেলা রয়েছে এর মধ্যে!
অধিকারীদের তিনজনকে খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল
সবাই চলে গিয়েছে, শুধু একজন অধিকারী এখনও একা কুম্ভ হয়ে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূলে। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পরই অধিকারী পরিবারের তিনজনকে খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল। তাই অধিকারদের বিরুদ্ধে তোপ গাদতে পেরেছেন খুল্লামখুল্লা। শিশির অধিকারীকে চেয়ারম্যান করে রাখলেও আক্রমণ করতেও ছাড়ছে না তৃণমূল।
অধিকারী পরিবারের সেজ ছেলেকে নিয়ে জল্পনা রয়েই গেল
তবু শুভেন্দুর পথ ধরে সৌমেন্দু এবং শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও পরিবারের সেজ ছেলে দিব্যেন্দুকে নিয়ে জল্পনা রয়েই গেল। তিনি জল্পনা জিইয়ে রেখেই গরহাজির থাকলেন মোদীর সভায়। বাড়ির অদূরেই সভা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, তবু দিব্যেন্দু এলেন না। মঞ্চে যখন শিশির-শুভেন্দু-সৌমেন্দু, তখন দিব্যেন্দু-জায়া রইলেন সভায়।
তৃণমূলকে পিছনে ফেলে বিজেপি এগিয়ে যেত ২১-১৯ ব্যবধানে
শিশির অধিকারী বিজেপিমুখী হওয়ার পর মোদীর সভায় দিব্যেন্দু যেতে পারেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু দিব্যেন্দু অধিকারী গেলেন না। তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হত। বিজেপির স্বপ্নও পূরণ হত। রাজ্যে সাংসদের পরিসংখ্যানে বিজেপি এগিয়ে যেতে পারত। তৃণমূলকে পিছনে ফেলে বিজেপি এগিয়ে যেত ২১-১৯ ব্যবধানে।
বিজেপিকে এগিয়ে দিতে দিব্যেন্দুই বাজি ভোটের মুখে
তৃণমূলের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক টিকে থাকার একমাত্র সুতো হলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। সেই সুতো কেটে গেলেই ২৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। একটা সুতোর উপরই ঝুলছে তৃণমূল ও অধিকারীদের সম্পর্ক। তৃণমূল ও বিজেপিও সমান সমান হয়ে আছে লোকসভার অঙ্কে। শিশির অধিকারী বিজেপিতে গিয়ে সমান সমান করে দিয়েছেন সাংসদ সংখ্যা। ভোটের আগে বিজেপিকে এগিয়ে দিতে দিব্যেন্দুই বাজি ভোটের মুখে।
প্রকাশ্যে দলীয় কর্মীকে চড়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভাইরাল তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার কীর্তি