স্বরাষ্ট্র দফতর, পুলিশও দলবাজিতে যুক্ত! 'প্রমাণ' দিয়ে ফের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সরব ধনখড়
স্বরাষ্ট্র দফতর, পুলিশও দলবাজিতে যুক্ত! 'প্রমাণ' দিয়ে ফের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে সরব ধনখড়
রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (jagdeep dhankhar)। দার্জিলিং-এ থাকলেও তিনি যে রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে, এদিন টুইটে তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এদিন তিনি সরব হয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাপতির নিরাপত্তা প্রত্যাকার করা নিয়ে।
মুর্শিদাবাদের সভাধিপতি সহ ৩ তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার সভাধিপতি মোশারফ হোসেন, আর বুধবার নন্দীগ্রামের দুই তৃণমূল নেতা আবু তাহের এবং মেঘনাদ পালের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গ মোশারফ হোসেন রবিবার এবং বাকি দুই তৃণমূল নেতা মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ ও নন্দীগ্রামে হওয়া শুভেন্দু অধিকারীর সভায় হাজির ছিলেন। সেই সভায় ছিল না তৃণমূলের কোনও পতাকা, ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি। এই দুই সভাকেই কার্যত তৃণমূলের বিরুদ্ধে সভা বলেই বর্ণনা করছে রাজনৈতিক মহল। যাঁদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে এখনও তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। আর তাঁরা এখনও তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন। তাই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে তাঁরা দুর্ভাগ্যজনক বলেই বর্ণনা করেছেন।
রাজ্যপালের সমালোচনা
নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। বিষয়টিকে গুরুতর বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি আনা উচিত নয়। এব্যাপারে তিনি রাজ্য পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরকে আক্রমণ করে বলেছেন, এদের রাজনীতিকরণ হয়েছে। যা অসংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রশাসন এবং পুলিশকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
দুদিন আগেও পুলিশ ও প্রশাসন নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল
দুদিন আগেও পুলিশ ও প্রশাসনের কাজ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, পুলিশ এবং প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। এব্যাপারে তিনি আইএএস এবং আইপিএসদের তাদের কনডাক্ট রুলসের কথা কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। এঁরা যাতে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকেন, তার জন্য সতর্ক করেছিলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব রাজ্যপাল
বর্তমানে রাজ্যপাল বারবার সরব হচ্ছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বাড়ছে বলে অভিযোগ রাজ্যপালের। সর্বোচ্চ প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশাসনকে চিঠি লিখলেও, তার কোনও উত্তর মেলেনি বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড়ের আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল, সরকার সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত করা হচ্ছে না। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তৃণমূলের, ভাঙন-জল্পনার মাঝে টোপ অধীরের