ধনেখালির গ্রামে বসে চোখের জল মুছেও দেশদ্রোহী প্রজ্ঞার কঠোর শাস্তি চাইছেন মা
সাধারণ কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কি করে জঙ্গি সংস্পর্শে এল তা ভেবেই পাচ্ছেন না ধনেখালির কেশবপুরের বাসিন্দারা। এদিকে গত শুক্রবার ভান্ডারহাটির এই কেশবপুরের এক 'সাধারণ’ মেয়েকেই জঙ্গিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের আধিকারিকেরা। অভিযোগ, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের মহিলা শাখার সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ করত আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে প্রজ্ঞা দেবনাথ। বর্তমানে তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন তার গ্রামের বাসিন্দা সহ তার মা-বাবাও।

ওইদিন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। তারপর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে সে। জানা গিয়েছে গত চার বছর ধরে সে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল প্রজ্ঞা। দলে নতুন সদস্য নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধনেখালির এই লাজুক মেয়েটির উপরেই। এর আগে সংস্কৃত নিয়ে ধনিয়াখালি কলেজে পড়ছিল ২৫ বছরের প্রজ্ঞা। দুর্গাপূজোর ঠিক আগে ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মেয়ে ঘর ছাড়ে বলে জানান তার মা গীত দেবনাথ। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় কলকাতা যাবে বলে বেরোয় সে। তার পর থেকেই বেপাত্তা। পরে বাংলাদেশে তার ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা শোনা যায়।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরেই বেশ কয়েকটি অবস্থাপন্ন পরিবার থেকে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল বলেও জানান প্রজ্ঞার মা গীতা দেবনাথ। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ে আরও পড়াশোনা করুক। কিন্তু কোথা থেকে কি ভাবে তার মধ্যে জেহাদি চিন্তার চারাগাছ জন্মনিল তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেশবপুর কালীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ দেবনাথ ও তাঁর স্ত্রী গীতা। মেয়ের কর্মকাণ্ডের কথা ভেবে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন ভান্ডারহাটির নিম্নবিত্ত এই বাঙালী পরিবার। চোখের জল মুছে বর্তমানে আইন মেনে মেয়ের কঠিন শাস্তিও চাইছেন গীতা। একই কথা বলছেন প্রজ্ঞার বাবাও।

ফের রাজ্যে জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা, নির্দেশিকায় কী জানাল নবান্ন, কীসে ছাড় জেনে নিন