রাখালের তদন্তভার গেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে, চাপ বাড়তে পারে শুভেন্দুর উপরও
রাখালের তদন্তভার গেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে, চাপ বাড়তে পারে শুভেন্দুর উপরও
বিধানসভা ভোটের আগেই সেচ দফতরে নিয়োগ নিয়ে তদন্তের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু সেচ দফতরেই নয়, বনদফতরেও নিয়োগ নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। নাম না করে এভাবেই শুভেন্দু এবং রাজীবকে আক্রমণ করেছিলেন নেত্রী। আর এরপরেই ক্ষমতায় ফিরেই সেচ দফতরের দুর্নীতি ফাঁস করার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনিক স্তরে। আর এই তদন্তে নেমেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ।
রাখালের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
রাখালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। সেচ দফতরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ এই রাখালের বিরুদ্ধে। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে এমন লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে রাখালের বিরুদ্ধে গত কয়েকমাস আগে প্রথম অভিযোগ করেন সুজিত দাস নামে এক চাকরি প্রার্থী। মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেন তিনি। সেচ এবং জল পরিবহণ দফতরের গ্রুপ 'ডি' পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ সুজিতের। অভিযোগ প্রায় ২ লক্ষ টাকা রাখালকে দেন সুজিত। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন থানায় রাখালের নামে একাধিক অভিযোগ হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু
২০১৯ সালে সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সময়েই দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে রাখাল টাকা তোলে বলে অভিযোগ। ফলে এই মামলায় চাপ বাড়তে পারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর। কারন সেই সময় তিনি ওই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
তদন্তভার গোয়েন্দাদের হাতে
ইতিমধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে। রাখালকে জেরা করে বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। ঊঠে এসেছে চঞ্চল নন্দী নামে কাঁথির এক বাসিন্দার নামও। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই ব্যক্তি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, দুর্নীতির জাল অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে। আর সেই কারনেই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে। খুব শীঘ্রই রাখালকে জেরা করবে গোয়েন্দারা। জেরা করা হতে পারে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকেও।
সুপ্রিম কোর্টে শুভেন্দু
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ রাখাল। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। মানিকতলার ছাপাখানা রয়েছে। আর সেই প্রতারণার জাল রাখাল খোলে বলে অভিযোগ। কলকাতায় শুভেন্দু ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গা রাখালই দেখা শুনা করত। এমনকি কাথি পুরসভার যাবতীয় অথি ছাপা হত রাখালের কারখানা থেকেই। যদিও শুভেন্দু আগেই জানিয়েছেন, যাকে তাঁকে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে দেওয়াটা সংবাদমাধ্যমের দায়। তাঁর না বলেই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল ছাড়ার পর একের পর এক মামলা হচ্ছে। ৪০০ এরও বেশি মামলা হয়েছে। সমস্ত মামলার বিরুদ্ধে সিবিআই চেয়ে সুপ্রিমো কোর্টের দ্বারস্থ তিনি হবেণ বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।