উন্নয়নে অজুহাত খালি ট্যাঁক, তবু খয়রাতিতে মুক্তহস্ত রাজ্য
মেদিনীপুর, ৩০ ডিসেম্বর: দিল্লি সব কাটা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের কোষাগারে টাকা নেই। বারবার এই গল্প শোনানো সত্ত্বেও দু'হাজার ক্লাবকে দু'লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ জানুয়ারি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এই দান-খয়রাতি করা হবে। পাশাপাশি, রাজ্যের ৬০০টি থানাকে এক লক্ষ টাকা করে অনুদান দেবে সরকার। মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে জঙ্গলমহল উৎসবে এসে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশ, অঙ্গনওয়ারি ইত্যাদি মিলিয়ে ৩০ হাজার বেকার ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হবে না। অনিয়মিত বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আপনাদের নিয়মিত বেতন দিতে আমাদেরও ইচ্ছে করে না। চাই ভালো মাইনে দিতে। কিন্তু দিল্লি সব টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যখন হাতে টাকা আসবে, তখন আপনাদের কথা নিশ্চয় ভাবব। আমরা চাই, আপনারা মাথা তুলে দাঁড়ান। আমাদের সরকার কারও চাকরি খায় না, চাকরি দেয়। আপনারা কোনও উসকানিতে কান না দিয়ে কাজটা ভালো করে করুন।"
কিন্তু ট্যাঁকখালির জমিদারের গল্প শোনালেও পর মুহূর্তে তিনি জানান, ১০ জানুয়ারি দিনটি 'ক্রীড়া দিবস' ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন কলকাতায় দু'হাজার ক্লাবকে দু'লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। পরের তিন বছর তারা আরও এক লক্ষ টাকা করে পাবে। এর আগে চার হাজার ক্লাবকে দু'লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যর ৬০০টি থানায় পুলিশকর্মীরা যাতে খেলাধুলোর সরঞ্জাম পান, সেই জন্য এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, সব টাকা যদি দিল্লি কেটে নিয়ে যাবে, তা হলে দানছত্র করার টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে রাজ্য সরকার? নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে সরকারের আয়ব্যয় পরীক্ষা করা হোক বলে দাবি তুলেছে সিপিএম, বিজেপি।