করোনা লকডাউনে ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম’-এ বেরিয়েছে কেন্দ্র, মোদীকে খোঁচা ডেরেকের
করোনা লকডাউনে ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম’-এ বেরিয়েছে কেন্দ্র, মোদীকে খোঁচা ডেরেকের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি ধীরে হলেও বাড়ছে ভারতে। বাংলাতেও বাড়ছে ধীর লয়ে। এরই মধ্যে কেন্দ্র বনাম রাজ্য সংঘাতের আবহ তৈরি হল। বাংলায় মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি কেন্দ্রীয় দলের এই পরিভ্রমণকে 'অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম' আখ্যা দিয়েছেন।
ডেরেকের খোঁচা মোদী সরকারকে
ডেরেক কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে চরম বিষোদ্গার করেন। রাজ্যে কেন্দ্রের টি্মের আসাকে ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। ডেরেক বলেন, কেন্দ্রের টিম রাজ্যে আসতেই পারে। কিন্তু কেন্দ্রের টিম আসার তিনঘণ্টা পরে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানানো হয়, সেটাকে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে!
যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর বুলডোজার
ডেরেক প্রশ্ন তোলেন, কোন আধারে কেন্দ্রীয় টিম পাঠানো হল রাজ্যে। তা তো জানাতে হবে। কিন্তু সে সব না জানিয়ে রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে প্রতিনিধি পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর বুলডোজার চালিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। বাংলার মানুষকে সাহায্য করতে রাজ্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও কেউ যদি সেই কাজ করতে আসতে চায়, তাঁকে স্বাগত। কিন্তু তার তো একটা পদ্ধতি রয়েছে। তা মানেনি কেন্দ্র।
যেখানে বেশি আক্রান্ত, সেখানে পাঠানো হয়নি কেন্দ্রীয় দল
কেন্দ্রীয় টিমের এই ভিজিটকে ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম' হিসাবে অভিহিত করে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোন কেন্দ্রীয় দলকে সেই সমস্ত রাজ্যে পাঠানো হয়নি, যেখানে অনেক বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত। ডেরেক ও সুদীপ উভয় সাসংদই প্রশ্ন তোলেন, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে কেন যায়নি কেন্দ্রীয় দল।
শীর্ষ দশ রাজ্যের তালিকাতেই আসে না পশ্চিমবঙ্গ
তৃণমূলের দাবি, ওইসব এলাকায় করোন ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি এবং আর ওইসব রাজ্যে অনেক বেশি হটস্পট রয়েছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন কেন্দ্রীয় দলকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে, যেখানে সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষ দশ রাজ্যের তালিকাতেই আসে না পশ্চিমবঙ্গ।
তৃণমূলের প্রশ্ন, কেন গুজরাটে নয় কেন্দ্রীয় দল
তৃণমূলের দাবি, বাংলায় এখন ৪০০ অতিক্রম করেনি আক্রান্তের সংখ্যা। আর মোদীর রাজ্যে গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০০ ছুঁই ছুঁই। আসলে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও সুযোগ বুঝে রাজনীতি করা হচ্ছে। এই মর্মেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রাও কেন্দ্রকে একহাত নেন।
করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, কাকে কটাক্ষ করলেন বাবুল