বিজেপি বাংলাকে চিনের উহান বলে কটাক্ষ করেছে, এখন কেন্দ্রই পিছু হটছে মমতার রাজ্যে
বিজেপি বাংলাকে চিনের উহান বলে কটাক্ষ করেছে, এখন কেন্দ্রই পিছু হটছে মমতার রাজ্যে
বিজেপি বাংলাকে চিনের উহান বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই প্রমাণ করেছে বাংলার অবস্থা যথেষ্ট ভালো। বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি কুৎসা-অপপ্রচার আর অযথা রাজনীতি করেও বাংলাকে হেয় করতে পারেনি। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের ত্রয়ী ডেরেক, সুদীপ এবং দীনেশ।
বিজেপির কথা শুনে কেন্দ্র রাজ্যকে হেয় করতে চেয়েছিল
অভিযোগ, বিজেপির কথা শুনে কেন্দ্র রাজ্যকে হেয় করতে চেয়েছিল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কেন্দ্রের টিম বাংলায় এমন কিছু তথ্য খুঁজে পায়নি, যা নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়। সেই চেষ্টা জারি রাখতেই ফের দল পাঠানো হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সাহায্য করতেই এই দল পাঠানো হচ্ছে।
কেন্দ্র এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটা টিম পাঠাতে
ডেরেক বলেন, কেন্দ্র এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটা টিম পাঠাতে। অন্য রাজ্যে তিনটি করে দল পাঠানো হচ্ছে। গত রাতের নোটিশে বাংলায় একটি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্র প্রমাণ করতে চাইছে বাংলার অবস্থা খুব খারাপ। কিন্তু এবার কেন্দ্রের নেওয়া সিদ্ধান্তই প্রমাণ করেছে, বাংলার অবস্থা ততটা খারাপ নয়। কেন্দ্র প্রমাণ করতে চাইছে বাংলা পিছিয়ে, তা সম্ভব হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের জন্য।
বাংলা সামগ্রিকভাবে এগিয়ে, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি
ডেরেক ও সুদীপ বলেন, বাংলার অবস্থা ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভালো কাজ হয়েছে করোনা মোকাবিলায়। মুখ্যমন্ত্রীতে রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। তাই বাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বাংলা সামগ্রিকভাবে এগিয়ে। অনেক রাজ্যের থেকে বাংলা এগিয়ে আছে। বরং কেন্দ্র সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
করোনা পরিকল্পনায় কেন্দ্র ব্যর্থ লকডাউনের ৪০ দিনে
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে রেলের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের সরকারের তরফেও কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তাঁদের জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি, অথচ ৪০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল লকডাউনের। এতদিন পর তাঁদের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও, তাঁদের ফিরতে টিকিট কাটতে হচ্ছে। কংগ্রেস এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের রেলের টিকিট কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে কংগ্রেস।