ডেঙ্গুতে পরপর মৃত্যুতে আতঙ্কে কাঁটা ডেবরার গ্রাম, মশারির আড়ালে দিন গুজরান স্থানীয়দের
ডেঙ্গুতে একই পরিবারের পর পর তিন জনের মৃত্যুর ঘটনার পরে আতঙ্কে ভুগছেন গ্রামের ও পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথ দাসের (২৯)। তার আগে ২৫ অক্টোবর মৃত্যু হয়েছে তার বাবা বিশ্বেশ্বর দাস এবং কাকা সন্ন্যাসী দাসের।
এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার সত্যপুর গ্রামের। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে থাকলেও এখন মশার আতঙ্কে ভুগছেন। বেশির ভাগ সময় থাকছেন মশারির ভিতরে দিনের বেলাতেও। আর ভোলানাথ দাসের দুই দাদা, সোমনাথ ও যদুনাথ তাদের স্ত্রী পুত্রদের অন্য জায়গাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন যাতে তারা মশার কামড় থেকে বাঁচতে পারেন।
যদুনাথ জানিয়েছেন যে ভোলানাথ মালদহ জেলায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তার বদলি হয় এই জেলাতেই। আগামী সপ্তাহে তার এখানে স্কুলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। স্কুল দেখতে গ্রামে এসেছিল সে। তার পর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।
কলকাতায় চিকিত্সা চলছিল। মঙ্গলবার সেখানে মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথ দাসের। ভোলানাথ দাসের স্ত্রী সুচিত্রা দাস ও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। তার চিকিত্সা চলছে কলকাতায়। গত বছর তাদের বিয়ে হয়।
যদুনাথ জানিয়েছেন যে তারা এখন আতঙ্কে ভুগছেন। বেশিরভাগ সময় থাকছেন মশারির ভিতরে। গ্রামের অনেকেই এখন মশার আতঙ্কে ভুগছে ও মশার হাত থেকে বাঁচতে অন্য জায়গাতে চলে গিয়েছে।
এই
গ্রামে
চারদিকে
আবর্জনা
ও
আগাছায়
ভর্তি।
বুধবার
এই
গ্রামে
গিয়েছেন
স্বাস্থ্য
দপ্তরের
লোকজন।
তারা
গ্রামের
লোকজনদের
বলছেন
তারা
যেন
নিজেদের
এলাকা
পরিষ্কার
করেম
ও
আগাছা
কেটে
ফেলেন।
'আমি এই দিন এই গ্রামে গিয়েছিলাম। আমরা চারদিকে মশা তাড়ানোর ও মশা মারার স্প্রে করতে বলেছি। পাশাপাশি গ্রামের লোকজনকে বলেছি নিজেদের এলাকা পরিষ্কার করে ও আগাছা কেটে ফেলে দিতে। কারণ এই এলাকায় চারদিকে আবর্জনা ও আগাছায় ভর্তি। সেখানে মশা জন্ম নিচ্ছে,' বলেছেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র।