ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে মুকুল রায়ের করা মামলা আপাতত খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছে, তারা কোনও রকমের ফোন ট্যাপিং-এর নির্দেশ দেয়নি।

কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয়। এখন দিল্লির ভোটার মুকুল রায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর চারচারটি ফোন নম্বরে আড়ি পাতছে বলে দিল্লি হাইকোর্টেই অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ বেশ কয়েক মাস ধরে আড়ি পাতার কাজ চলছে। আগে তৃণমূলে থাকলেও, বর্তমানে যাঁরা তৃণমূলের নেই, তাঁদের ফোনে রাজ্য সরকার আড়ি পাতছে বলে অভিযোগ।
দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ জানানোর পর ২০ নভেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট, কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক, মুকুল রায়কে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ভোডাফোন, এমটিএমএল এবং রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নোটিশ দেয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিল বন্ধ কামে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি বিভু ভাকরু। আড়ি পাতা হয়ে থাকলে কার নির্দেশে হয়েছে, তারও জবাব চেয়েছেন ছিলেন বিচারপতি।
রাজ্য ও কেন্দ্রে কৌসুলিরা মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের আদালতে হওয়া উচিত বলে যুক্তি দিয়েছিলেন। মুকুল রায়ের আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি ছিল তিনি সবসময়ই পুলিশের নজরদারিতে থাকেন। তাছাড়া তিনি এই মুহূর্তে দিল্লির ভোটার।

আদালতে রাজ্য সরকার তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, টেলিফোনে আড়ি পাতা নিয়ে মুকুল রায়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরপরেই মামলাটি আপাতত খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, আপাতত যে সব প্রমাণ মুকুল রায় জমা দিয়েছেন, তা মামলা চালানোর পক্ষে উপযুক্ত নয়। যদি পরে বিষয়টি নিয়ে আরও প্রমাণ তাঁর হাতে আসে, তাহলে ফের তিনি (মুকুল রায়) আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
এক সাক্ষাৎকারে মুকুল রায় অভিযোগ করেছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়েও, তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারও যে কাজ করেনি এখন সেই কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
Oneindia এর ব্রেকিং নিউজের জন্য . সারাদিন ব্যাপী চটজলদি নিউজ আপডেট পান.subscribe to Bengali Oneindia.