'দার্জিলিংও ভেঙে ভাগ করে দিতে পারে,কিছু করার থাকবে না'! বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার মহুয়ার
এই প্রথমবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাষ্ট্রপতির ভাষণে 'অ্যামেন্ডমেন্ট' এর ডাকে সাড়া দেওয়া হয়েছে। এমন এক ঘটনা ঘটেছে দিল্লি নির্বাচনের মুখে। সেই সমস্ত প্রসঙ্গ থেকে বিজেপির শাহিনবাগ নিয়ে অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল যে দিল্লি নির্বাচনে কেজরিওয়াল শিবিরের পাশে রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছেন জেরে ও ব্রায়ান। আর এবার মোদী বিরেধিত তুঙ্গে রেখে সরব হলেন মহুয়া মৈত্র। এক নামী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি উগড়ে দিয়েছেন ক্ষোভ।
দিল্লি নির্বাচনে শাহিনবাগ কি বিজেপিকে মাইলেজ দিচ্ছে!
বিজেপির অন্তর্বর্তী সমীক্ষার দাবি, দিল্লি নির্বাচনে শাহিনবাগই তাঁদের ভোট ব্যাঙ্ক ভারি করবে। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দাবি, বিজেপির মিথ্যা বুলি আর চাপিয়ে দেওয়ার রাজনীতি তখনই চলে, যখন অর্থনীতি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। শাহিনবাগ শুধু সেই ক্ষোভের একটি প্রকাশ মাত্র। ৩০৩ থেকে বিজেপি এখন শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন মহুয়া।
সিএএ নিয়ে বিরোধীদের বিরোধিতার পরও কিভাবে পাশ হল বিল.. প্রশ্ন তুলছে বিজেপি!
তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন সাংসদের অনুপস্থিতি সিএএ বিল পেশের ভোটাভুটির দিন নজরে আসে অনেকেরই। এছাড়াও কংগ্রেস সহ বিরোধীদের সংসদে অবস্থান সত্ত্বেও সংসদে পাশ হয়ে যায় এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল । যা নিয়ে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। বিজেপির প্রশ্ন, বিরোধীদের যদি বিরোধিতাই করার ছিল, তাহলে কী করে এই বিল সংসদে পেশ হয়?যে প্রশ্নেরও ক়ডা জবাব দিয়েছেন মহুয়া।
'দার্জিলিং ভেঙে ভাগ করে দিতে পারে ..'
মহুয়া মৈত্রের দাবি, ' ওঁরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। কাল যদি চায় ৩৬৫ ধারা লাগু করতে পারে আর দার্জিলিংও চাইলে কাল ভেঙে ভাগ করে দিতে পারে ওঁরা। এটা আদর্শের প্রশ্ন। দড়ি সামনে থাকলে আপনাকে ভাবতে হবে, যে সেটা ফাঁসির জন্য ব্যবহার হবে , নাকি কুয়ো থেকে জলা তোলার জন্য...।'
রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রসঙ্গে মহুয়া
মহুয়া মৈত্রের দাবি, সাম্প্রতিক রাষ্ট্রপতির ভাষণ অত্যন্ত বিভাজনমূলক ছিল। 'মোশন অফ থ্যাঙ্কস'কে মেনে নিতে পারছেনা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক শিবিরই। আর তার জন্যই তৃণমূল বিজেপির কট্টর বিরোধিতায় নামে । মহুয়া মৈত্রর দাবি, এই মোশন নিয়ে আগামী দিনের রূপরেখা স্থির করবে দলীয় নেতৃত্ব। তবে দিল্লি নির্বাচনের আগে যে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে , তা বলাই বাহুল্য।