বাংলার মতো দিল্লি বিধানসভাও উত্তাল, কেজরিওয়াল-ইস্যুতে ৩ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড
বাংলার মতো দিল্লি বিধানসভাও উত্তাল হল। সেখানেও তিন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার। বাংলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বাংলার মতো দিল্লি বিধানসভাও উত্তাল হল। সেখানেও তিন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার। বাংলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর দিল্লি বিধানসভায় সাসপেন্ড করা হয়েছে চিন বিজেপি বিধায়ককে। এর ফলে জাতীয় রাজধানীতেও বিজেপি বিধায়করা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ কুমার গুপ্ত 'অপমানজনক' মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে আম আদমি পার্টির বিধায়করা সোচ্চার হন। তার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বিজেপির তিন বিধায়ক। তাঁরা বিক্ষোভব দেখাতে শুরু করেন। তারপরই এদিন অধিবেশন চলাকালীন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রাম নিবাস গোয়েল তিনজন বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত করেন।
দিল্লি বিধানসভা থেকে বরখাস্ত হওয়া তিনজন বিজেপি বিধায়ক হলেন অনিল বাজপাই, জিতেন্দর মহাজন এবং অজয় মহাওয়ার। তাঁরা ওয়েলে নেমে স্পিকারের বেঞ্চের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। তাঁদের স্পিকারের বেঞ্চের কাছ থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। এমনকি স্পিকার তাঁদের বারবার বসতে অনুরোধ করলেও, তাঁরা নিজেদের বেঞ্চে ফিরে যায়নি।
এর পরে স্পিকার বিধানসভার কার্যক্রম ১৫ মিনিটের জন্য মুলতবি করে দেন। তাতেও কিছু পরিবর্তন হয়নি। সকালে হাউসের প্রথম বৈঠকের পর দ্বিতীয়বারও বিক্ষোভ জারি রাখেন বিজেপি বিধায়করা। এর আগে সকালে হাউস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার মন্তব্যে স্লোগান দিয়ে আপ বিধায়করা হাউসের ওয়েলে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
আম আদমি বিধায়ক মহিন্দর গোয়েল গুপ্তকে এ জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব দাখিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দিল্লি বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে হাউসে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনা দরকার। এবং বিরোধী দলনেতার ক্ষমা চাওয়াও উচিত। কিন্তু তাঁরা কেউই ক্ষমা চাননি এবং নিন্দা প্রস্তাবও আনা হয়নি।"
বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিধায়করাও প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের নাছোড়বান্দা বিক্ষোভের জেরে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ডের রাস্তায় হাঁটতে হয়। বারবার সতর্ক করার পরও তাঁরা পিছু না হটায় তিনজনকে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়। বাংলায় পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয় অধ্যক্ষের সামনেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য। উল্লেখ্য, এদিন রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চাওয়ায় ধুন্ধমার বাঁধে। তার ফলে সাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন বিধায়ক জখম হন।