ভবানীপুরের ভোটার ও 'প্রভাবশালী ব্যক্তি' মদন মিত্রর বিরুদ্ধে কমিশনে দীপা
কলকাতা, ২৮ এপ্রিল : আগামী ৩০ এপ্রিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সির কাছে। এইদিনই নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ভবানীপুরের হেভিওয়েট কেন্দ্র থেকে জোট প্রার্থী হিসাবে ভাগ্যপরীক্ষা তারা। বিপক্ষে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জটা খুবই কঠিন। তবে এদিনের ভোট নিয়ে মমতা নয়, আশঙ্কা তার তৃণমূলেরই অন্য এক নেতাকে নিয়ে।
এই নেতা আর কেউ নন, বরং সারদা চিটফান্ড কান্ডে জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। মদন মিত্র ভবানীপুরের বাসিন্দা এবং এই কেন্দ্রের ভোটার। পাশাপাশি প্রভাবশালী তো বটেই (যেই যুক্তিতে বারবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হচ্ছে)। দীপার আশঙ্কা ভবানীপুরের ভোট নিয়ে এলাকায় নিজের প্রভাব খাটাতে পারেন মদন। এসএসকেএম থেকেই এলাকার ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তিনি।
ভোটের দিন যাতে মদন মিত্র নিজের প্রভাব খাটাতে না পারে সে বিষয়টি কমিশন যেন সুনিশ্চিত করে এই আর্জিই নসিম জাইদির কাছে জানালেন ভবানীপুরের জোটপ্রার্থী দীপাদাসমুন্সি। পাশাপাশি এসএসকেএম-এ থাকা মদন মিত্রকে কড়া নজরদারিতে রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। তার মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করা এবং তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোরও আর্জি জনিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার ভোটগ্রহণ হয়েছে। জেলবন্দি অবস্থাতেই কামারহাটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মদন। কিন্তু ভোট শেষ হতেই পরের দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল বুকের ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মদনবাবু। এখনও হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি। আর তাতেই চিন্তিত দীপা।