ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে এমনই কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
ডেঙ্গিকে নোটিফায়েবেল ডিজিস হিসেবে ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আরও একাধিক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
ডেঙ্গিকে নোটিফায়েবেল ডিজিস হিসেবে ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আরও একাধিক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
ডেঙ্গিকে নোটিফায়েবেল ডিজিজ হিসেবে ঘোষণা করতে, আদালত সরকারকে ২০১২-র ৩ সেপ্টেম্বরের নোটিফিকেশনকে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ডেঙ্গিকে নোটিফায়েবেল ডিজিজ হিসেবে ঘোষণা করলে, সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে ডেঙ্গি নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের সম্পর্কে রিপোর্ট রাজ্যকে পাঠাতে হবে। রাজ্য সেই রিপোর্ট পাঠাবে কেন্দ্রকে।
এর আগের বারের শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ্র আদালতকে বলেন, কেন্দ্র রাজ্যকে ডেঙ্গিকে নোটিফায়েবেল ডিজিজ হিসেবে ঘোষণা করার আবেদন করলেন, রাজ্য তা করেনি।
দুর্গম অঞ্চলে, ডেঙ্গি নিয়ে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলেই সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে মোবাইল ভ্যান পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে সবকটি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালকে এলাইজা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট সরবরাহ করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২৪ নভেম্বর ডেঙ্গি নিয়ে ১০টি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় আদালতেই ডেঙ্গি নিয়ে সরকারি হাসপাতালে তিনটি মৃত্যুর কথা জানানো হয়। যা সরকারি রিপোর্টে ছিল না।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জি সরকারের আবেদন খণ্ডন করেন। তাঁরা জানান, সবকটি জনস্বার্থ মামলাই উল্লেখ করার মতো। এই সময় বিচারপতিরা সরকারকে বলেন, প্রত্যেকটি জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করার জন্য আলাদা করে এফিডেফিট দাখিল করার জন্য। এর জন্য জানুয়ারির দ্বিতীয় পর্যন্ত তাঁদের সময়ও দেওয়া হয়। দশ আবেদনকারীকেই এরপর দু-সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
সরকার আদালতে জানায়, এবছরে ডেঙ্গিতে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গিতে মৃত্যুতে পরিবারবর্গকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছিলেন, এক আবেদিনকারী। এর প্রেক্ষিতে, বেঞ্চ জানান, পুরো শুনানির পরেই এবিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।