অশোকের হার, পিছিয়ে সেলিম, সুজন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটেই নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বামেরা
অশোকের হার, পিছিয়ে সেলিম, সুজন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটেই নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বামেরা
ভোটের রেজাল্টের ট্রেন্ড বলছে ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। বামেরা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছেন রাজ্য থেকে। গতবারের থেকেও খারাপ ফলের ট্রেন্ড প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। অশোক ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী সকলেই পিছিয়ে পড়েছেন। ইয়ং ব্রিগেডকে হারিয়েই কি বামেদের এই দশা হয়েছে জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
পিছিয়ে অশোক ভট্টাচার্য
এতোদিন একাই শিলিগুড়ির গড় আগলে ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। বামেদের দুর্দিনে তিনি আশার আলো দেখিয়ে ছিলেন। সেই অশোক ভট্টাচার্যও এবার নিরাশ করতে শুরু করেছেন। শিলিগুড়িতে অশোকের বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী করেছিল প্রাক্তন বাম নেতা শঙ্কর ঘোষকে। বেলা ১২টা পর্যন্ত হিসেব বলছে শঙ্কর অনেকটাই এগিয়ে গিেয়ছেন। পিছিয়ে পড়েছেন অশোক। তিনি দাবি করেছেন ফল যাই হোক ব্যাখ্যা দেবে আলিমুদ্দিন।
পিছিয়ে সেলিম, সুজন
গতবারের সব হিসেব নিকেশ ফেল করে যাচ্ছে। এবার বামেদের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং মহম্মদ সেলিম। সুজন পিছিয়ে রয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রে। সেখানে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ২০১৬ সালে যাদবপুুর েকন্দ্রে জিতেছিলেন সুজন। ঠিক একই ভাবে চণ্ডীতলা কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। এই কেন্দ্রে বিজেপির তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্তও পিছিয়ে রয়েছে। এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
জোটই কাল
হেভিওয়েট বাম প্রার্থীদের এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক সময়ে বামেদের প্রবল প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানো মেনে নিতে পারেননি দলের অনেক কর্মী। নবীন নেতাদের ময়দানে নামানো আরও আগে জরুরি ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সংখ্যা লঘুভোটের অধিকাংশটাই কেটে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল আর আইএসএফ।
Live: পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, বাংলায় কাঁটার টক্কর তৃণমূল-বিজেপির
সরকার গড়ার পথে তৃণমূল
ফের রাজ্যে সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে ভোট বাক্স। এখনও ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৮২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলি এখনও শূন্য প্রায়। কংগ্রেসের একাধিক আসন হাতছাড়া হচ্ছে। বামেদের অবস্থা আরও খারাপ।