বিজেপিতে কি দেবশ্রী সত্যিই যোগ দিচ্ছেন! সাফ জবাবে ধোঁয়াশা কাটালেন রায়দিঘির বিধায়ক
গত অগাস্ট মাসে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে বাংলার রাজনীতিতে প্রাথমিক তোলপাড় তুলেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত অগাস্ট মাসে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে বাংলার রাজনীতিতে প্রাথমিক তোলপাড় তুলেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঝড়ের বেগ আরও খানিকটা বেড়ে যায় সেদিনই দেবশ্রী রায়ের বিজেপি হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে। কানাঘুষো শোনা যায় যে, শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বিজেপিতে একই দিনে যোগ দিতে পারেন দেবশ্রীও। এই ঘটনা নিয়ে বাংলার রাজনীতি বেশ কয়েক মাস তোলপাড় হওয়ার পর এবার মুখ খুলে সাফ বক্তব্য জানিয়ে দিলেন দেবশ্রী।
ঘটনার ফ্ল্যাশব্যাক
দিল্লিতে বিজেপি হেডকোয়ার্টারে গিয়েও পদ্মশিবিরে যোগ না দিয়ে দেবশ্রী ফিরতেই জল্পনা বাড়তে থাকে। শোনা যায়, দেবশ্রী বিজেপির দফতরে আসায়, সেদিনই অস্বস্তি প্রকাশ করে ফিরে যেতে চান তৃণমূলত্যাগী শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর বিজেপিতে দেবশ্রীকে রাখা হবে কি না তা নিয়ে কোন্দল জন্ম নেয়। দেবশ্রীকে ঘিরে অস্বস্তি প্রকাশ পায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও।
দিলীপের সঙ্গে দেখা করতে চান দেবশ্রী
কানাঘুষো শোনা যায়,বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে দেবশ্রী রায় তাঁর বাড়িতেও যান। কিন্তু রাত দশটায় সেদিন দিলীপ ঘোষ বাড়িতে না থাকায় খালি হাতে ফেরেন দেবশ্রী। এরপরই শোনা যায় , তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে কথা হয় বিজেপির দিলীপ ঘোষের। এক সূত্রের দাবি, মহুয়া মৈত্র দিলীপ ঘোষকে দেবশ্রীর সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেন। শোনা যায়, ফোনে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দিলীপ ঘোষকে জানান যে দেবশ্রী কয়েকদিন ধরে অবসাদে রয়েছেন । ফলে একবার যেন দিলীপ ঘোষ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।
আজ দেবশ্রী কী জানিয়ে দিলেন?
এদিন, দেবশ্রী জানিয়ে দিয়েছেন স্পষ্ট ভাষায় যে তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। ঘাসফুল পার্টি ছেড়ে তিনি যাচ্ছেন না বলে সাফ জানান রায়দিঘির সাংসদ। তাঁর দাবি , 'অনেক ভুল বুঝেছেন, সবাই জানেন আমি তৃণমূলে আছি। এতো কন্ট্রোভার্সিয়াল ব্যাপার হয়েছে .. সেটা ঠিক নয়।'
দেবশ্রী -শোভন সম্পর্কে অবনতি ও বিজেপির অবস্থান
অগাস্ট মাসে তৃণমূলের বিধায়ক হঠাৎ কেন বিজেপি হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে যান দিল্লিতে তা নিয়ে প্রবল প্রশ্ন উঠতে থাকে। এক সময়ে দেবশ্রী রায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে। রায়দিঘি থেকে দেবশ্রীকে ভোটের জেতানোর ক্ষেত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এলাকা জুড়ে দাপটও কিছু কম ছিল না। সেই সময় শোভন-দেবশ্রী সম্পর্ক যেখানে ছিল , তা থেকে আজ সম্পর্ক অনেকটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে।
'আমি এনসিপি! সমর্থনের চিঠি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই', সুপ্রিমকোর্টে দাবি অজিত পাওয়ারের