ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে রাজ্যে আরও বাড়ল মৃত্যু, ধ্বংসের খতিয়ান দিল রাজ্য সরকার
আম্ফানের তাণ্ডবে রাজ্যে আরও বাড়ল মৃত্যু, ধ্বংসের খতিয়ান দিল রাজ্য সরকার
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ল। সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। প্রায় ১৩কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাড়ে ১০ লাখ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিপুল এই ক্ষতি নিয়ে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গকে।
আম্ফানে মৃত ৮৬
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে গোটা রাজ্যে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২২ জন মারা গিয়েছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। গাছ পড়ে ২৭ জন। ছাদ ভেঙে ৫জন। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে ৩ জন। সাপের কামড়ে ১ জন। দেওয়াল পড়ে ২ জন, হার্ট অ্যাটাকে ২ জন এবং ল্যাম্প পোস্ট পড়ে ২ জন মারা গিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ কোটি মানুষ
আম্ফানের তাণ্ডবে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলি। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর। ১৩,৬১,৫০০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আম্ফানের তাণ্ডবে। ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল আম্ফান। ভয়ঙ্কর সেই ঝড় ৩ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের ৭ জেলায়।
জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি
বিধ্বংসী আম্ফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়াের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে দিল্লিতে সরব হয়েছে ২২টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। যদিও প্রধানমন্ত্রী নিজে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যে ঘোষণা করেছেন। মৃত এবং আহতদের পরিবারকেও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্যের পাশে কেন্দ্র
আম্ফান পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করবে।
জাতীয় বিপর্যয় আম্ফান, মমতার দাবির সমর্থনে দিল্লিতে সরব ২২টি রাজনৈতিক দল