মর্মান্তিক! একই সঙ্গে ভয়াবহও, নদী থেকে বাস তুলতেই বেরিয়ে এল একের পর এক লাশ
মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ব্রিজের রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যাওয়া বাস তোলার পরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকল মৃতের সংখ্যা। এক এক করে উদ্ধারকর্মীরা বাস থেকে বের করে আনলেন মৃতদেহ।
মর্মান্তিক! একই সঙ্গে ভয়াবহও। ভৈরবের গর্ভ থেকে বাস তোলার পরই সেই বাসের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল একের পর এক মৃতদেহ। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ব্রিজের রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যাওয়া বাস তোলার পরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকল মৃতের সংখ্যা। এক এক করে উদ্ধারকর্মীরা বাস থেকে বের করে আনলেন মৃতদেহ। এই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
[আরও পড়ুন:মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন]
রাতের অন্ধকারে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে উদ্ধারকার্য চালানো হয়। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় নদীগর্ভ থেকে হাইড্রোলিক ক্রেনের সাহায্যে বাসটিকে তোলা হয়। বাসটিকে একেবারে উপরে তোলা অবশ্য সম্ভব হয়নি। বারবার ক্রেনের দড়ি ছিঁড়ে যেতে থাকে। তখনই কৌশল বদল করে বাসের মধ্যে আটকে থাকা দেহগুলি আগে উদ্ধার করা হয়।
নদীর জলের সঙ্গে সমান্তরাল অবস্থায় বাসটিকে রেখে এক্সিট কাচ ভেঙে একে একে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পরই পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৩ জন ভাগ্যবান প্রাণ নিয়ে উঠে আসতে পারেন নদী থেকে। সন্ধ্যায় ক্রেন দিয়ে বাস তোলার পর আরও ৩১টি দেহ উদ্ধার করা হয়। বাসে আর কোনও দেহ নেই বলে জানানোর পর বাসটিকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিন দুর্ঘটনার পর এলাকায় অগণতি মানুষ ভিড় জমান। প্রিয়জনকে হারানোর আর্তিতে মানুষের অধীর প্রতীক্ষা একটিবার তাঁদের প্রিয়জনকে দেখার। এনডিআরএফ-কর্মীরা দেহ উদ্ধারের পর একে একে করে দেহ পাঠিয়ে দেয় মুর্শিদাবাদ জেলা হাসপাতালে। এদিকে বাসে ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল বলে হাসপাতালে ভর্তি বাসযাত্রীদের ধারণা। তা সত্যি হলে অনেক দেহ ভেসে যেতে পারে। বাসটিকে নদী গর্ভে যেখানে পড়েছিল, সেই জায়গায় গিয়ে ফের তল্লাশি চালাচ্ছেন ডুবুরিরা। যদি কোনও দেহ সেখানে পলিতে আটকে থাকে। উল্লেখ্য, উদ্ধারকার্য শুরুর ন-ঘণ্টা পর বাসটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
[আরও পড়ুন:মুর্শিদাবাদে বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, ঘটনাস্থলের পথে মুখ্যমন্ত্রী]