ডেবরা এলাকায় এক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকায় এক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে ও এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে যে মৃত শিশির বেরা ডেবরার সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি কর্মী। তার বাড়ি ভরতপুর।

বছর ৪২ র শিশির বেরা প্রায় আঠারো বছর ধরে কাজ করতেন। বাড়ির কাছেই একটা গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ জানায় যে এই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। এদিকে জানা গিয়েছে যে মৃত শিশির বেরার লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পিয়ালী সিং , তার স্বামী গৌরী সিং, প্রাক্তন প্রধান মনীন্দ্রলাল কামিল্যা ও সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব সঞ্জয় বেরা র নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
যাদের নাম ওই নোটে আছে তারা সবাই শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। জানা গিয়েছে যে এই সুইসাইড নোটে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উল্লিখিত লোকজনের সাহায্য নিয়ে চাল গম চুরি সহ নানা রকম দুর্নীতিতে যুক্ত । তিনি এই দুর্নীতির কথা জানার পর তা মেনে নিতে পারেন নি বলে বাকিদের জানিয়ে দেওয়ার কথা বলার পরে তাকে দিয়ে কিছু কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।
মৃতর বোন ঝুমা মন্ডলের দাবি যে শিশির বেরা ওই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতেই তাকে জোর করে কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয় ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়। প্রধান ও অন্যান্যরা তার ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। তা সহ্য করতে না পেরে এই ভাবে মরতে হল শিশির বেরাকে।
এলাকার লোকজন দাবি করেছেন যে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য বলেছেন যে তারা এই বিষয়টি পুলিশকে ভালো করে তদন্ত করে দেখতে বলেছেন।
ব্যর্থতার বিতর্কের মাঝেই দিল্লি পুলিশের নতুন কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত