৪ জনের মৃত্যু ঘিরে আগুন জ্বলল পাহাড়ে, আলোচনার প্রস্তাব সরকারের
বেশ কয়েকদিন পরিস্থিতি থমথমে থাকার পর ফের আগুন জ্বলল পাহাড়ে। শুক্রবার রাতের পর থেকে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে একের পর এক মোর্চা ও জিএনএলএফ-এর কর্মীর মৃ্ত্য়ুর ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
বেশ কয়েকদিন পরিস্থিতি থমথমে থাকার পর ফের আগুন জ্বলল পাহাড়ে। শুক্রবার রাতের পর থেকে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে একের পর এক মোর্চা ও জিএনএলএফ-এর কর্মীর মৃ্ত্যুর ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে সোনাদা, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং গরুবাথানের বহু জায়গায় অশান্তি ছড়াতে থাকে । রাতে কার্শিয়াং-এ অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে।[আরও পড়ুন:পরিকল্পনা করে পাহাড়ে অশান্তি, মদত কেন্দ্রীয় সরকার ও বিদেশি শক্তির, অভিযোগ মমতার]
এদিকে, মৃত্যুর ঘটনার পাশপাশি উঠে আসছ আহতের সংখ্যার পরিসংখ্যানও। খবর, আহতদের মধ্য অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। মোর্চার সহকারী সম্পাদক বিনয় তামাং-এর দাবি মৃতের সংখ্যা ৪ জনের অনেক বেশি। একই দাবি তুলেছেন জিএনএলএ-এর সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রীও। প্রসঙ্গত শুক্রবার রাত ১১ টা থেকে তাসি ভুটিয়ার মৃত্যুকে ঘিরে তেঁতে ওঠে পাহাড়। আর তার পর থেকে আসতে থাকে আরও মৃত্যুর খবর।
বন দফতরের অফিস, ট্রাফিক পোস্ট ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর চালানো হয় দার্জিলিং এর খাদ্য দফতরের অফিসে। কালিম্পং এর এসডিও অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। সঙ্গে বিভিন্ন রাস্তায় বাস আটকে যান চলাচল বিপর্যস্ত করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বিকেলের পর সংবাদমাধ্যমকেও ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়। যদিও সোনাদায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি পাহাড়ে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আইডি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম।
এদিকে, পুলিশের গুলি চালানোর অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেছেন, ' পুলিশের গুলিতে কারও মৃত্যু হয়েছে বলে আমারা জানা নেই। আমি নিয়মিত পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।' যদিও ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোলা উদ্ধার হয়েছে। আর সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে, যদি গুলি নাই চলে থাকে, তাহলে মৃত্যু কীভাবে হল? এছাড়াও, কার গুলিতেই বা এই মৃত্যু হল ? তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর সওয়াল। যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলোচনার প্রস্তাব দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এদিকে এরকম এক পরিস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে সমস্ত রকমের আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন বিনয় তামাং। এছড়াও মৃতদের বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে জিএনএলএফ। সব মিলিয়ে পাহাড়ে সংকট অবস্থা আরও ঘোরালো হচ্ছে বলে দাবি ওয়াকিহবহাল মহলের।