বরফের চাদরে ঢাকা দার্জিলিং, ১০ বছর পর নৈস্বর্গিক আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা
সান্দাকফুতে সপ্তাহ খানেক আগেই তুষারপাত হয়েছিল। শুক্রবার থেকে কালিম্পংয়ের তুষারপাত শুরু হয়। একটা দিন পরে দার্জিলিংয়েও মিলল তুষার দর্শন।
পারদ নামতে নামতে শূন্যে পৌঁছেছে প্রায়। এই অবস্থায় তুষারপাত না হয়ে আর উপায় আছে। হচ্ছেও তাই। সান্দাকফুতে সপ্তাহ খানেক আগেই তুষারপাত হয়েছিল। শুক্রবার থেকে কালিম্পংয়ের তুষারপাত শুরু হয়। একটা দিন পরে দার্জিলিংয়েও মিলল তুষার দর্শন। পর্যটকরা বেজায় খুশি। ১০ বছর পর এভাবে তুষারপাত হতে দেখা গেল টাইগার হিল-সহ দার্জিলিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
শনিবার দিনের শুরু থেকেই দার্জিলিং বরফের চাদরে মোড়া। পর্যটকরা সেই আনন্দ চুটিয়ে উপভোগ করেছেন। তুষারপাত দেখেই তাঁরা সাধ মেটায়নি, তুষার-বৃষ্টিতে ভিজে পুরো স্বাদ নিয়েছেন। ধীরে ধীরে বরফের চাদরে মোড়া দৃশ্য তুলে রেখেন মনের ক্যামেরায়।
শুক্রবার দার্জিলিংয়ের পারদ এক ধাক্কায় কমেছে ০.৫ ডিগ্রি। শুক্রবার দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.০ ডিগ্রি। ওইদিন দার্জিলিংয়ের সোনাদায় শিলাবৃষ্টি হয়। আর তারপরই হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি। শনিবার সকাল হতেই পর্যটকদের চোখ জুড়াল তুষারপাতের নান্দনিক দৃশ্যে।
সাত বছর পর শুক্রবার কালিম্পংয়ের রিশপে তুষারপাত হয়। বিকেল তিনটে থেকে তুষারপাত শুরু হয়। তারপরই কালিম্পংয়ের রাস্তায় পর্যটকরা আনন্দোল্লাসে মেতে ওঠেন। ঘুম ও জোড়াবাংলোতেও তুষারপাত হয়। আর এদিন দার্জিলিং তুষারের চাদরে মুড়ে যায়। ম্যাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈস্বর্গিক দৃশ্য দেখে পর্যটকরা অভিভূত। ১০ বছর পর এই নান্দনিক দৃশ্য ফুটে ওঠে দার্জিলিংয়ের বুকে।
তুষারপাতে সিকিমের নাথুলায় আটকে পড়েছিল প্রায় ৪০০ গাড়ি। ওই গাড়ির মধ্যে ছিলেন ২৫০০ পর্যটক। শেরটথাঙ্গ ক্যাম্পের সেনারা তাঁদের উদ্ধার করে নিজেদের বারাকে আশ্রয় দেন। শিশুদের মুখে তুলে দেন দুধ, ওষুধ, খাবার। শীতে আড়ষ্ট পর্যটকদের গায়ে তুলে দেন কম্বল।