রবিবার সারা দিন উত্তপ্ত জয়গাঁ, রণক্ষেত্র সুকনাও, কী হুমকি দিল মোর্চা জেনে নিন
নতুন করে পাহাড় আন্দোলনের আঁচ সমতলে। মোর্চার আন্দোলনের জেরে রবিবার উত্তপ্ত থাকল আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। শনিবারের পর রবিবারও রণক্ষেত্র ছিল সুকনা
নতুন করে পাহাড় আন্দোলনের আঁচ সমতলে। মোর্চার আন্দোলনের জেরে রবিবার উত্তপ্ত থাকল আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। রণক্ষেত্র ছিল সুকনাও।
মোর্চার আন্দোলন আরও উগ্র হবে। রবিবার এমনটাই হুমকি দিয়েছে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি। রবিবার ছিল মোর্চার গ্লোবাল র্যালির দিন। পাহাড় ও তরাই-এ পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করে রবিবার একাধিক জায়গায় অবস্থান করে মোর্চার কর্মী সমর্থকরা।
জলপাইগুড়ির বাগরাকোট, সামসিং এবং আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলেও, কালচিনির জয়গাঁর ভারত-ভূটান সীমান্তে বিনা অনুমতিতে জমায়েত করে মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই প্রথমে লাঠি, পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। বিক্ষোভ সরাতে জল কামানও ব্যবহার করে পুলিশ।
বিকেলের পর জয়গাঁয় বিক্ষিপ্তভাবে মোর্চার জমায়েত লক্ষ্য করা গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জমায়েত সরাতে পুলিশ প্রথমে মাইকিং করে। পরে লাঠি চার্জ করা হয়। মোর্চার লাঠি-ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন ৫ পুলিশকর্মী। শতাধিক মোর্চা কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে, শনিবারের পর রবিবারও রণক্ষেত্র ছিল সুকনা। পাহাড়ের অনির্দিষ্টকালের বন্ধের মধ্যেই সুকনায় মিছিলের ডাক দেয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দার্জিলিং মোড়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা করতেই মিছিল আটকায় পুলিশ। তখনই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে মোর্চা সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এরপরই পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানোর গ্যাসের শেল।