ফের ভাঙলো সুন্দরবনের বাঁধ জলের তোড়ে ভাসল বেশ কয়েকটি গ্রাম
ফের ভাঙলো সুন্দরবনের বাঁধ জলের তোড়ে ভাসল বেশ কয়েকটি গ্রাম
পাঁচদিন পেরিয়েছে তার পরেও আমফানের ধ্বংসলীলা চলতেই আছে। সোমবার ফের সুন্দরবনের বাঁধ ভেঙে জলের তোড়ে ভাসল বেশ কয়েকটি গ্রাম। আতঙ্কে ঘর ছাড়া কয়েক হাজার মানুষ।
ভাঙনের তালিকায় রয়েছে পাথরপ্রতিমা ব্লকের ব্রজবল্লভপুর, শ্রীধরপুর, গোপালনগর, রামগঙ্গার ভারাতলা। মথুরাপুরের কঙ্কণদিঘি, মুক্তার ভেড়ি, কুমড়োপাড়া, নন্দকুমার, হরিণটানা বাজার।
কুলতলি ব্লকে গোপালগঞ্জের গরাণকাটি, দেউলবাড়ির পুরো অংশ, কৈখালি, মৈপীঠ, গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী, ঠাকুরান নদী, বৈকুণ্ঠপুর কিশোরীমোহনপুর, সামন্তর মাথামানি নদী বাঁধ।
জানা গিয়েছে, এদিন কুলতলির মৈপীঠে এই চিত্র দেখা গিয়েছে। ফলে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে বাসন্তীর ভরতগড়, বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েত, নফরগঞ্জ, ঝড়খালি সহ একাধিক জায়গা। গোসাবার আমতলির হরিতলা, কুমিরমারির বুধবার হাট, ছোটমোল্লাখালির ৮, ৯ নম্বর ঘাট, রাঙাবেলিয়ার বাক্সবাগান। আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ এখন ঘর ছাড়া।
একইদিনে কোটাল ও উমপুন, এই দুই দৈত্যের দাপাদাপি সইতে পারেনি সুন্দরবনের আধিকাংশ দুর্বল নদী বাঁধ। ফলে গোটা সুন্দরবন জুড়েই এখন উমপুনের এই বাঁধ-ভাঙা ধ্বংসলীলা চোখে পড়ছে। অনেকে এর সঙ্গে সাড়ে দশ বছর আগেকার আইলার তুলনা করছেন। কারও দাবি, তার চেয়েও বেশি। সেচ বিভাগের দেওয়া প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী সব মিলিয়ে দুশোর বেশি জায়গাতে বাঁধ ভেঙেছে। চূড়ান্ত হিসেবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেচ বিভাগের এক আধিকারিক।
তাঁর দাবি, কাকদ্বীপ ডিভিশনেই শুধু ৬৭টির বেশি জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙেছে। এর মধ্যে চারটি জায়গায় কোথাও দেড়, কোথাও দু'কিলোমিটার বাঁধ একেবারে ধুয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলার তাণ্ডবে সুন্দরবনের ৯০ শতাংশ নদী বাঁধ উধাও হয়ে গিয়েছিল। তার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন হাজার হাজার দ্বীপবাসী। শুধু তাই নয়, এত বছর বাদেও অনেক জায়গায় আইলার ভাঙা বাঁধ মেরামত হয়নি।
ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, সেইসব বাঁধ ভালো করে সংস্কারের জন্য অনেকদিন আগে থেকে দরবার করেও কারও ঘুম ভাঙানো যায়নি।
করোনা সন্দেহে পুলিশকর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল গড়ফা থানায়