নতুন বছরে শহরবাসী পেতে চলেছে নয়া রুটে মেট্রো পরিষেবা
নতুন বছরে বাঙালি পেতে চলেছে নয়া রুটে মেট্রো পরিষেবা। আগামী সপ্তাহেই মেট্রোর এই নতুন রুটের শুভ সূচনা হবে। তারপর থেকেই থেকেই মেট্রো রেল ছুটবে দক্ষিণেশ্বর লাইনের ওপর দিয়ে। নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথ উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মেট্রোরেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৫ ও ৬ তারিখ পরিদর্শনে আসেন মেট্রো রেলের সেফটি কমিশনার। তারপরই মেলে এই রুটে মেট্রো চলাচলের ছাড়পত্র।দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো চলাচলে ছাড়পত্র দিলেও এই নতুন রুটের মেট্রো চলাচলে বেশ কিছু শর্তও রেখেছেন মেট্রো সার্কলের সেফটি কমিশনার শৈলেশকুমার পাঠক। যাত্রী পরিষেবা, সিগন্যালিং, রেক রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতার পাশাপাশি ওই মেট্রো-পথে ঘণ্টায় সর্বাধিক ৮০ কিলোমিটার গতিতে মেট্রো চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সেফটি কমিশনার।
এছাড়াও
অনভিজ্ঞ
নয়,
এই
রুটে
মেট্রো
চালাবেন
অভিজ্ঞ,
প্রশিক্ষিত
এবং
ন্যূনতম
জুনিয়র
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ
গ্রেডে
কাজ
করা
চালকরা।
একইসঙ্গে
অগ্নিনির্বাপন
ব্যবস্থা
আরও
দৃঢ়
করতে
প্রয়োজনীয়
কিছু
ব্যবস্থা
নেওয়ার
পরামর্শও
দিয়েছেন
কমিশনার।
আপৎকালীন
পরিস্থিতিতে
যাত্রীদের
বেরিয়ে
আসার
জন্য
স্টেশনে
উপযুক্ত
পথ
নির্দেশিকা
রাখার
কথা
বলা
হয়েছে।
নোয়াপাড়া
ও
দক্ষিণেশ্বর
এই
দুটি
স্টেশনে
আপৎকালীন
পরিস্থিতি
মোকাবিলায়
ইমার্জেন্সি
ট্রিপ
সুইচে
বিশেষ
অডিয়ো
অ্যালার্ম
বসানোর
কথা
বলেছেন
কমিশনার।
তাঁর
আরও
পরামর্শ,
আগামী
তিন
মাসের
মধ্যে
'ডেটা
লগার'
বসানোর
কাজ
শেষ
করতে
হবে।
যার
মাধ্যমে
ট্রেনের
অবস্থান
জানা
যায়।
আর
আগামী
৬
মাসের
মধ্যে
কার্যকর
করতে
হবে
ট্রেন
প্রোটেকশন
ওয়ার্নিং
সিস্টেম।
প্রসঙ্গত,
করোনা
পরিস্থিতিতেই
সম্পন্ন
হয়ে
যায়
কাজ।
নোয়াপাড়া
থেকে
দক্ষিণেশ্বর
পর্যন্ত
পরীক্ষামূলকভাবে
মেট্রো
চলাচল
শুরু
হয়েছিল
সেসময়।
কিন্তু
যাত্রীদের
উদ্দেশ্যে
খুলে
দেওয়া
হয়
নি
মেট্রো
পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন দেখতে হয়েছে ভবতারিণীর মন্দিরের আদলেই। বরানগর মেট্রো স্টেশনেও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সব কটি স্টেশনে ট্রায়াল রান চালিয়েই নিশ্চিত হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চায় মেট্রো।অন্যদিকে, দক্ষিণ মেট্রোর এই সম্প্রসারণের ফলে, এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলা মনে করছে রাজ্য। এর জেরে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলবে মেট্রো রেল। ফলে মানুষ খুব কম সময়ে মানুষ কলকাতা শহরের যেকোনো স্থানে পৌঁছাতে পারবেন।