সোমবার হাইকোর্টে ফের ডিএ মামলা, ত্রিপুরার রায়কে সামনে রেখেই আশাবাদী রাজ্যের কর্মীরাও
সোমবার ডিএ মামলার নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের সম্ভাব্য় নির্দেশ নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে সোমবার আদালতে হলফনামা দেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার ডিএ মামলার নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের সম্ভাব্য় নির্দেশ নিয়ে আশাবাদী তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে সোমবার আদালতে হলফনামা দেওয়ার কথা রয়েছে।
হাইকোর্টে ডিএ নিয়ে মামলা চলার মধ্যেই ১৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা লাগু হবে ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি, এর ফলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁদের ডিএ-র ফারাক দাঁড়াবে ৩৯ শতাংশ। যদিও ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা আরও এক কিস্তি মহার্ঘ ভাতার দাবিদার হবেন। এখন এই ফারাক আরও বেড়ে যাবে।
বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, ১৫ শতাংশ ডিএ পেলে শুধু একজন গ্রুপ ডি কর্মীর বছরে ক্ষতি ৫০ হাজার টাকা। তাই সরকারি কর্মীদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা নিয়ে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী 'ঘেউ ঘেউ' মন্তব্য নিয়েও ক্ষুব্ধ বেশিরভাগ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেছে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ডিএ মামলার রায় ঘোষণার পর এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য়, ডিএ কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। ত্রিপুরা হাইকোর্ট সেখানকার রাজ্য সরকারের একই দাবি খারিজ করে, ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় একই ধরনের আশায় রয়েছেন এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরাও। হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কথা আদালতে জানানোর সঙ্গে এও জানিয়েছে সরকার ডিএ দিতে বাধ্য নয়। আদালত সেই বক্তব্য মেনে নিলেও, কর্মী স্বার্থে ডিএ-র গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এখন আদালতের পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।