সামাজিক দূরত্ব শিকেয় উঠেছে কলকাতায়! লকডাউনে নিরাপদ সফরের জন্য অফিসযাত্রীদের ভরসা কী?
লকডাউনের জেরে সাইকেলের বিক্রি বেড়েছে কলকাতায়। সরকারি বাস ও বেসরকারি বাস পথে নামলেও সংখ্যায় তা অনেকটাই কম। তাই কোথাও কোথাও শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব। এই পরিস্থিতিতে কোরোনা সংক্রমণ তেকে বাঁচতে সাইকেলেই ভরসা রাখছেন অনেকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সাইকেল আরোহীদের বেশিরভাগ রাস্তায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। তবে সাইকেল আরোহীদের একটি সংগঠনের দাবি ছিল, বেশ কয়েকটি রাস্তাকে শুধুমাত্র সাইকেলের জন্যই নির্ধারিত করে দিতে হবে।
লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে সাইকেলের চাহিদা
শেষ দু'মাসে অর্থাৎ লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে সাইকেলের চাহিদা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত এক একটি সাইকেলের বাজারদর ৮ থেকে ১৫ টাকা। এধরনের সাইকেলগুলিরও চাহিদা বেড়েছে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে এক সাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, লকডাউনের সময় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে সাইকেলের বিক্রি। ওই সংস্থার সব ডিলারের থেকেই একইরকম খবর পাওয়া গেছে।
কলকাতার এক সাইকেল আরোহীর বক্তব্য
কলকাতার এক সাইকেল আরোহী এই বিষয়ে বলেন, 'গণপরিবহন ব্যবস্থা থেকে দূরে থাকতে মানুষ এখন সাইকেলের উপরই ভরসা রাখছেন। আমি এমন অনেককেই চিনি যাঁরা প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য সাইকেলের উপরই ভরসা রাখছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন বাস বা অন্যান্য গণপরিবহন আর নিরাপদ নয়।'
সরকারের তরফে ব্যবস্থাপনার দাবি
তিনি আরও বলেন, 'কোনও কোনও সময় মানুষকে অফিসে যেতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্তও যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে যখন প্রতিদিনই রাস্তায় সাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে, তখন সরকারের অবশ্যই আমাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'
রাস্তায় সাইকেল প্রবেশের অনুমতি
এদিকে আনলক শুরু হওয়ার পর একাধিক রাস্তায় সাইকেলের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তড়িঘড়ি ১০ জুন কলকাতা পুলিশের তরফে কয়েকটি রাস্তায় সাইকেল প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
বিকেল ৩ টেয় শুরু প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের প্রথম দফার বৈঠক! আলোচনায় আসতে পারে এইসব তথ্য