কোন পথে সাইক্লোন ইয়াস? খোঁজ নিতে আলিপুর হাওয়া অফিসে পৌঁছে গেলেন ধনখড়
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas) রয়েছে পূর্ব মধ্য এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরে। যা এগোচ্ছে উত্তর পশ্চিম দিকে। গত ছয় ঘন্টা ধরে ইয়াস এগোচ্ছে ঘন্টায় ১৭ কিমি করে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas) রয়েছে পূর্ব মধ্য এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরে। যা এগোচ্ছে উত্তর পশ্চিম দিকে। গত ছয় ঘন্টা ধরে ইয়াস এগোচ্ছে ঘন্টায় ১৭ কিমি করে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১২ ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড় আরও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যা আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দিকে এগোবে।
দুর্যোগের আগে রাজ্যবাসীকে ভরসা জোগালেন মুখ্যমন্ত্রী
সাইক্লোন নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার। জায়গায় জায়গায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন-উপান্নের কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "দুর্যোগ আমাদের হাতে নেই। আটকাতেও পারব না প্রকৃতিকে। তবে আমি পাহারা দেব আপনাদের। পরিস্থিতি যাই হোক, ভরসা রাখুন। ২৫ ও ২৬ তারিখ আমি রাত জেগে পাহারা দেব। আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হন।" অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো আগামী ৪৮ ঘন্টায় নবান্নেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর গেলেন রাজ্যপাল
একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে রাজ্যপাল ধনখড়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মূলত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির খোঁজ নিতেই আলিপুর হাওয়া অফিস যান তিনি। একেবারে সরজমিনে হাওয়া অফিসে বসেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন তিনি। এমনটাই ঠিক ছিল। সেই মতো হাওয়া অফিসের ডিরেক্টরের কাছ থেকে এই বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে টুইটারে আলিপুর যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, 'বিকেল সাড়ে ৪টেয় আলিপুর আবহাওয়া দফতরে যাবেন বাংলার রাজ্যপাল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে খোঁজখবর নেবেন'।
কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে
এর আগে, ভারতীয় বায়ুসেনা, জাতীয় আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগের মোকাবিলা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই দুর্যোগের সময় একেবারে কেন্দ্র এবং রাজ্য যাতে কোমর বেঁধে নামে সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আজ রাজ্যপাল জানিয়েছন, আমি খুশি যেভাবে কাজ হচ্ছে। সবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি চাই, মানুষের কোণও বিপদ না হয়।
ল্যান্ডফলের স্থান
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যা আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে দিকে এগোবে। যা উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের খুব কাছে। যে অঞ্চলে ল্যান্ডফল করতে চলএছে তা চাঁদবালি এবং ধামরা বন্দরের খুব কাছে। বুধবার সকালে এই জায়গাতেই অবস্থান করবে সেটি। স্পষ্ট করে বলতে গেলে এলাকাটি পারাদীব এবং সাগরের মধ্যে ধামড়ার উত্তরে এবং বালাসোরের দক্ষিণে। বেলা ১১ টা নাগাদ সেটি ল্যান্ডফল করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
বৃষ্টির সতর্কবার্তা
এদিন সকাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও, অনেক জায়গায় তা এখনও হয়নি। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায়। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি প্রবল বৃষ্টিপাত হবে ২৬ মে সকাল থেকে। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলায়। ২৭ মে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।