ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও! ২ দিন ৬ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
শীত না পড়তেই দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা। আপাতত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) রাজ্যের কোনও জায়গায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও এর প্রভাব পুরোপুরি পড়তে চলেছে প্রায় সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। এদিন এমনটাই জানিয়েছে আ
শীত না পড়তেই দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা। আপাতত ঘূর্ণিঝড় রাজ্যের কোনও জায়গায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও এর প্রভাব পুরোপুরি পড়তে চলেছে প্রায় সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। এদিন এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর। তবে যেহেতু এখনও ঘূর্ণিঝড়ের অনুমান করা হচ্ছে, তাই এখনই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে না। তবে তা তৈরি হলে তার নাম হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ (Cyclone Jawad)।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস
এদিন কলকাতা আবহাওয়া দফতরের থেকে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে(৩০ নভেম্বর) থাইল্যান্ড এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। যা পরবর্তী ১২ ঘন্টায় আন্দামান সাগরে গিয়ে উপস্থিত হবে। এরপর তা পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২ ডিসেম্বর নাগাদ ঘনীভূত হবে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় তা আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে। এরপর তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং ওড়িশা এবং অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের কাছে পৌঁছবে ৪ ডিসেম্বর সকাল নাগাদ।
৩ ও ৪ ডিসেম্বর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের জেলাগুলিতে ৩ ডিসেম্বর থেকেই ঝোড়ো হাওয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঝোড়ো হাওড়া সঙ্গে প্রথমে ভারী বৃষ্টি হলেও তা অতিভারী বৃষ্টিতে পরিণত হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বৃষ্টির আশঙ্কা
সাধারণভাবে আপাতত আবহবিদরা মনে করছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব প্রথমে পড়বে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে, এরপর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে উপকূলের জেলাগুলিতে। ৪ ডিসেম্বর নাগাদ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে এই চার জেলা বাদে ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলাতেই। এছাড়াও সমগ্র দক্ষিণবঙ্গেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ৫ ডিসেম্বরেও দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের কমলা ও হলুদ সতর্কবার্তা
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে
৪
জিসেম্বর
পূর্ব
এবং
পশ্চিম
মেদিনীপুরে
ভারী
থেকে
অতিভারী
বৃষ্টির
সম্ভাবনায়
কমলা
সতর্কতা
জারি
করা
হয়েছে।
এই
একইদিনে
ভারী
বৃষ্টির
সম্ভাবনায়
উত্তর
২৪
পরগনা,
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
ঝাড়গ্রাম
এবং
হাওড়ায়
হলুদ
সতর্কতা
জারি
করা
হয়েছে।
৫
ডিসেম্বরের
ভারী
থেকে
অতিভারী
বৃষ্টির
সম্ভাবনায়
পূর্ব
ও
পশ্চিম
মেদিনীপুর,
উত্তর
ও
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
ঝাড়গ্রাম,
কলকাতা
ও
হাওড়া
জেলায়
কমলা
সতর্কবার্তা
জারি
করা
হয়েছে।
হলুদ
সতর্কতা
জারি
করা
হয়েছে
হুগলি,
নদিয়া,
মুর্শিদাবাদ,
পূর্ব
বর্ধমান
এবং
মালদহ
জেলায়।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা
মৎস্যজীবীদের উদ্দেসে জারি করা সতর্কবার্তায় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সমুদ্রে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই কারণে তারা যেন ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান। এছাড়াও ভারী বৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি মাঠে থাকা ফসলের ক্ষতিও হতে পারে।
থমকে শীত
এদিকে এই নিম্নচাপের জেরে আপাতত থমকে শীত। এদিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না কাটা পর্যন্ত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতির কারণেই কবে থেকে রাজ্যের মানুষ জাঁকিয়ে শীত অনুভব করবেন, তাও এখনই বলতে পারছে না আবহাওয়া দফতর।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে গোয়া যাচ্ছেন অভিষেক! একাধিক রাজনৈতিক নেতার তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা