করোনা আতঙ্কে আম্ফান-এর উদ্ধারকাজে বাধা! কোথায়, কীভাবে বাঁচবে মানুষ?
রাজ্যে প্রবেশ করছে সাইক্লোন আম্ফান৷ আজ বিকেলে অথবা সন্ধের দিকে এটি পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়েছে বৃষ্টি৷ গত ছ'ঘণ্টায় ২২ কিমি বেগে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অভিমুখে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে আম্ফান।
দ্বিতীয়বার এত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশে আছড়ে পড়বে
১৯৯৯ সালের পর দ্বিতীয়বার এত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার জন্য ৫৩টি দল তৈরি রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে এনডিআরএফ-র এই সাতটি দল পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ওড়িশার পূরি, জগৎশিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর, জপুর, ভদ্রক ও ময়ূরভঞ্জে ১০টি দলকে পাঠানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস আবহে আম্ফান
করোনা ভাইরাসের পর এবার বঙ্গোপসাগর থেকে উৎপন্ন হওয়া আম্ফান মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে আসছে। জানা গিয়েছে, বুধবারই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে, যার প্রভাব পড়বে লক্ষ লক্ষ মানুষের ওপর। সম্ভাব্য এই বিধ্বংসী ঝড় ও মারাত্মক ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে দুই দেশের উদ্ধারকাজই চলছে ধীরগতিতে।
উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ
সুপার সাইক্লোন আসার আগেই প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। রেকর্ড অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগর থেকে উৎপন্ন হওয়া ঝড়ের পর এটা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে মানুষকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ঘণ্টায় ১৫০ মাইল হাওয়া বয়ে চলেছে
সমুদ্রের বাইরে মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান বিশাল আবহাওয়া ব্যবস্থায় দেখা গিয়েছে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বা ১৫০ মাইল হাওয়া বয়ে চলেছে, যা চারটি হারিকেনের সমতুল্য। ঝড়ের তীব্রতায় সমুদ্রের ঢেউ ১০ফিট থেকে ১৬ফিট পর্যন্ত উঁচু হয়ে, যা দো-তলা বাড়ির সমান, আছড়ে পড়তে পারে। যার ফলে উপকূল সংলগ্ন যোগাযোগের টাওয়ার ও রাস্তা-রেল ট্র্যাকগুলিকে উপড়ে ফেলতে পারে।
ভারত এবং বাংলাদেশ কোভিডের প্রভাব মারাত্মক
ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশেই কোভিডের প্রভাব মারাত্মক। অপরদিকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার কারণে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রাস্তাতেই রয়েছে, কারণ তাঁদের কাজ নেই বলে বড় শহর থেকে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন পরিযায়ীরা। এঁদেরকে নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছে প্রশাসন।
বাংলাদেশে সরানো হয়েছে ২০ লক্ষ মানুষকে
এদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ১৯টি জেলার প্রশাসনকে আমফান মোকাবিলায় সমস্তরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। আম্ফানের কথা মাথায় রেখে ১৩ হাজার ৭৮টি আশ্রয়স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আশ্রয় স্থানগুলিতে ১৮-২০ লাখ মানুষকে সরিয়ে এনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আম্ফানের বিভীষিকা ফুটে উঠল নাসা-র ছবিতে! কোন পথে এগোচ্ছে সুপার সাইক্লোন?