আম্ফান তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দীঘা, বাংলায় ঢুকে পড়ল সুপার সাইক্লোন!
ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল দুপুর আড়াইটেতেই। মোট সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে স্থলভাগে সম্পূর্ণভাবে আছড়ে পড়তে। এরই মধ্যে আম্ফানের প্রকোপে লন্ডভন্ড হয়ে গেল দীঘা।
গাডওয়াল টপকে জল
গাডওয়াল টপকে জল ঢুকতে শুরু করেছে দীঘায়। তার সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টি শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূল এলাকায়৷ জলদা, শংকরপুর, জামুয়া, খেজুরি, জুনপুট, বাঁকিপুট বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজনদের ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে বারে বারে মাইকে সতর্ক করা হয়েছিল আগেই।
রাজ্যজুড়ে চলছে আম্ফানের দাপট
সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে চলছে আম্ফানের দাপট৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলায় চলছে ঝড়-বৃষ্টি৷ আমফানের দাপটে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ছে গাছ৷ ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় বন্ধ রাস্তা, পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে৷ অন্যদিকে ট্যাংরা, বেহালা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ কলকাতার বিভিন্ন স্থানেও ভেঙে পড়েছে গাছ৷
ওড়িশায় মৃত্যু শিশুর
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) প্রধান এস এন প্রধান জানান, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার বিপদসংকুল এলাকা থেকে প্রায় ৪.৫ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে ওড়িশায় ঝড়ের বলি হয়েছে এক শিশু। আম্ফানের জেরে ভেঙেছিল পড়েছিল কুঁড়েঘরের দেওয়াল। তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তার।
বাংলাদেশেও মৃত এক
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ১৯টি জেলার প্রশাসনকে আমফান মোকাবিলায় সমস্তরকম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আম্ফানের কথা মাথায় রেখে ১৩ হাজার ৭৮টি আশ্রয়স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আশ্রয় স্থানগুলিতে ১৮-২০ লাখ মানুষকে সরিয়ে এনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেদেশেও একজন মৃত বলে জানা গিয়েছে।
১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার এত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়
১৯৯৯ সালের পর দ্বিতীয়বার এত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার জন্য ৫৩টি এনডিআরএফ দল তৈরি রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে এনডিআরএফ-র এই সাতটি দল পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ওড়িশার পূরি, জগৎশিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর, জপুর, ভদ্রক ও ময়ূরভঞ্জে ১০টি দলকে পাঠানো হয়েছে।
১৫০ মাইল বেগে হাওয়া
মহাকাশ থেকে দৃশ্যমান বিশাল আবহাওয়া ব্যবস্থায় দেখা গিয়েছে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বা ১৫০ মাইল হাওয়া বয়ে চলেছে, যা চারটি হারিকেনের সমতুল্য। ঝড়ের তীব্রতায় সমুদ্রের ঢেউ ১০ফিট থেকে ১৬ফিট পর্যন্ত উঁচু হয়ে, যা দো-তলা বাড়ির সমান, আছড়ে পড়তে পারে। যার ফলে উপকূল সংলগ্ন যোগাযোগের টাওয়ার ও রাস্তা-রেল ট্র্যাকগুলিকে উপড়ে ফেলতে পারে।
করোনা আতঙ্কে আম্ফান-এর উদ্ধারকাজে বাধা! কোথায়, কীভাবে বাঁচবে মানুষ?
{quiz_111}