আম্ফান বনাম এনডিআরএফ, সুপার সাইক্লোন আম্ফান নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা! মোতায়েন রয়েছে ৫৩টি দল
সুপার সাইক্লোন আম্ফান ২০ মে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আছড়ে পড়বে। এই ঘূর্ণিঝড়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এনডিআরএফ। ১৯৯৯ সালের পর দ্বিতীয়বার এত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার জন্য ৫৩টি দল তৈরি রাখা হয়েছে। আজ একথা জানালেন এনডিআরএফ-র ডিজি এসএন প্রধান।
আম্ফানকে আমরা একটুও হালকাভাবে নিচ্ছি না
তিনি বলেন, 'আম্ফানকে আমরা একটুও হালকাভাবে নিচ্ছি না। ১৯৯৯-র পর দ্বিতীয়বার ভারত এরকম একটি সুপার সাইক্লোনের মুখোমুখি হতে চলেছে। ২০ মে সকাল বা দুপুর নাগাদ এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সেসময় এটি খুবই শক্তিশালী থাকবে।'
১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোন খুবই ভয়াবহ ছিল
১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোন খুবই ভয়াবহ ছিল। মনে করা হচ্ছে, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় আম্ফান ফণী-র মতোই শক্তিশালী থাকবে। ২০১৯-র মে মাসে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলে একটি ভিডিয়ো বার্তায় জানান এস এন প্রধান।
আরও দলকে তৈরি করছে এনডিআরএফ
তিনি বলেন, 'আমরা ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কবার্তা জারি করেছিলাম। সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা বলেছিলাম। তারা ইতিমধ্যে সেগুলি অনুসরণ করছে।' সোমবারইই ওড়িশায় ১০টি ও পশ্চিমবঙ্গে সাতটি দল পাঠিয়েছে এনডিআরএফ। এছাড়াও দুই রাজ্যের জন্য ২০টি দলকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে তৈরি রাখা হয়েছিল। আম্ফান মোকাবিলায় কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা। তাই আরও নতুন দলকে তৈরি রাখা হল এবার।
যেখানে যেখানে বিপদ
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে এনডিআরএফ-র এই সাতটি দল পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ওড়িশার পূরি, জগৎশিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর, জপুর, ভদ্রক ও ময়ূরভঞ্জে ১০টি দলকে পাঠানো হয়েছে।
১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরানো হচ্ছে
এস এন প্রধান জানান, এই দলগুলি বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর এনডিআরএফ নজর রাখছে। পাশাপাশি রাজ্যগুলির সঙ্গে ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে এবং দেশের আবহাওয়ামন্ত্রকের সঙ্গেও কাজ করবে। ইতিমধ্যেই তারা ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরানোর কাজ শুরু করেছে।
বাংলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ধীরে, সুস্থের সংখ্যা ১০০০ ছাড়াল, পরিসংখ্যান একনজরে