আম্ফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের কড়া সমালোচনার জের, আম্ফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা কালে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর রুটিন মাফিক প্রশাসনিক বৈঠকে, আম্ফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ আর এক মুহূর্তও ফেলে রাখতে চান না বলে স্পষ্টত জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য আগামী তিন দিনের মধ্যে আম্ফানের ক্ষতিপূরণ প্রদান যেখানে যা বাকি আছে, সবটা দিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খুব বেশি হলে এর জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে আম্ফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ব্যাপক ক্ষতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক ব্লকেও। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি সেই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বহু মানুষ। আম্ফানের ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত দুমাস ধরে বয়ে গিয়েছে অনেক ঝড়। রাজনৈতিক স্তর থেকে প্রশাসনিক স্তরে হয়েছে অনেক অভিযোগ, শাসক ও বিরোধী মধ্যে হয়েছে বাদানুবাদ। তবুও বহু মানুষ এখনও আম্ফানের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। তাই ঝড়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আইনজীবী মহলের মতে, এই মামলার জের এই হাইকোর্টের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। তাই তড়িঘড়ি এই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এই ৫ জেলার কাজের খতিয়ান নিতে নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আম্ফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সময়সীমা কঠোরভাবে বেঁধে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানান, 'আম্ফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ ৩, ৪ দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলুন। আর ফেলে রাখবেন না।'
তাঁকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, 'ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরির কাজ কোনও কোনও জেলায় ১ থেকে ২ শতাংশ বাকি আছে।' এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের সুরে বলেন, যেটুকু কাজ বাকি, তা দ্রুত শেষ করতে হবে, ৭ দিনের মধ্যেই যেন তা সমাপ্ত হয়।

কোনও প্রকল্প থেকে যেন বঞ্চিত না হন কৃষকরা, জেলা প্রশাসকদের কড়া বার্তা মমতার