আম্ফান-করোনার জোড়া ফলায় রক্তাক্ত বাংলা! শহর, জেলা থেকে মৃত্যুসংবাদ আসা অব্যাহত
আম্ফান, করোনার জোড়া ফলায় রক্তাক্ত বাংলা! শহর,জেলা থেকে মৃত্যুসংবাদ অব্যাহত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন 'আম্ফান বাংলার ৯৯ শতাংশ শেষ করে দিয়েছে।' একদিকে যখন করোনার প্রবল দাপট বাংলার বুকে একের পর এক প্রাণ কাড়ছে, তখন আম্ফানের বিধ্বংসী মহাপ্রলয়ে কার্য তছনছ বাংলা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক পরিস্থিতি।
শহর দেখেছে কালভৈরবের তাণ্ডব
শহরজুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় শুধু পড়ে রয়েছে গাছ। যা পেরিয়ে কোনও আপৎকালীন রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়াও বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে অ্যাম্বুলেন্সগুলির। করোনার ভয়াবহ ছোবলের মধ্যে কলকাতা শহর জুড়ে আম্ফান যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা আরও কয়েক বছর পিছিয়ে দিল কলকাতাকে।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
দুর্যোগের মধ্যেই আম্ফানের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই দুর্যোগ চলাকালীন নবান্ন থেকে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, একদিকে পরিযায়ী শ্রমিক , অন্যদিকে করোনা আর তার সঙ্গে আম্ফানের দাপট , সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে মানবিক হয়ে একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই কাম্য।
বাংলায় করোনার পরিস্থিতি
বাংলায় করোনার জেরে মোট মৃতের সংখ্যা ১৮১ তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন জানিয়েছে ৭২ জনের মৃত্যু কো মর্বিডিটি (অন্যান্য অসুস্থতা)র জন্য হয়েছে। বাংলায় মঙ্গলবার থেকে বুধবার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২ জন। ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১০৩ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আম্ফানের বীভৎস রূপ
আম্ফানের দাপটে গোটা রাজ্য জুড়ে রাত্রের অন্ধকারে কার্যত নতুন করে আঁধার নেমেছিল রাজ্য়ে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার রাতেই জানিয়ে দেন যে অন্তন পক্ষে ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকাল হতেই হুগলির শ্রীরামপুর,বাঁশবেড়িয়া,ব্যারাকপুর, বজবজ থেকে একের পর এক মৃত্যু সংবাদ আসতে থাকে।
সোশ্যাল ডিসটেন্সিং ও উদ্ধার কাজ
ঝড়ের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গৃহহীন বহু মানুষ। এদিকে , সকাল হতেই বহু জায়গায় উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এনডিআরএফ ও প্রশাসন আসার আগেই স্থানীয়রা এলাকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামেন। ফলে করোনার আবহে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে রাজ্যে।
প্লাবিত এলাকা
সুন্দরবন থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। প্রচুর মাটির বাড়ি ভেঙেছে। ভেঙে চুরমার নদী বাঁধ অমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কার্যত দিশেহারা , যে করোনার মোকাবিলার পাশাপাশি তারা পরিস্থিতি কিভাবে মোকবিলা করবে।
বন্ধ , ইন্টারনেট, জল, বিদ্যুৎ
রাজ্য়ের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন করোনার বহু রোগী। এছাড়াও সাধারণ রোগীর ভিড়ও কম নেই হাসপাতালে। আম্ফানের তাণ্ডবে আহতদের চিকিৎসার জন্যও লাইন দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে। এমন পরিস্থিতিতে আম্ফান আর করোনার জোড়া ফলা নিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়ছে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন।
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর! অভিযোগ গুরুতর