আয়লার স্মৃতি উসকে ধেয়ে আসছে ফণী! দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় সতর্কতা জারি
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী পশ্চিম মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করে পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অতি
প্রবল
ঘূর্ণিঝড়
ফণী
পশ্চিম
মধ্য
ও
সংলগ্ন
দক্ষিণ
পশ্চিম
বঙ্গোপসাগরের
ওপর
অবস্থান
করে
পশ্চিম
উত্তর
পশ্চিম
দিকে
এগিয়ে
যাচ্ছে।
১
মে
দিনের
মধ্যভাগ
পর্যন্ত
তা
উত্তর
পশ্চিম
দিকে
অগ্রসর
হবে।
তারপর
তা
উত্তর
উত্তর
পূর্ব
দিকে
এগোবে
বলে
অনুমান।
ওড়িশার
গোপালপুর
ও
চাঁদবালির
মধ্যবর্তী
জায়গায়
আঘাত
হানবে
৩
মে
বিকেলে।
সেই
সময়
এই
ঘূর্ণিঝড়ের
বেগ
থাকতে
পারে
ঘণ্টায়
১৭৫
থেকে
১৮৫
কিমি।
রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা
রাজ্যের প্রতি আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ৩ মে, শুক্রবার কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত( ৭-১১ সেমি) হতে পারে। ৪ মে, শনিবার, উল্লিখিত জেলাগুলির কোথাও অতি ভারী( ৭-২০ সেমি) কিংবা তার থেকেও বেশি ( ২০ সেমির বেশি) বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ের সতর্কবার্তা
২ মে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে হাওড়া বইতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে। ৩ মে শুক্রবার হাওয়ার বেগ বেড়ে হতে পারে ৬০ থেকে ৭০ কিমি প্রতি ঘন্টা। যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই হতে পারে। ৪ মে, শনিবার কোথাও কোথাও ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘন্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
পর্যটক, মৎস্যজীবী ও বন্দরে সতর্কতা
পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে যাঁরা মাছ ধরতে যান, তাঁদের উদ্দেশে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২ মে থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যেতে। আর যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ১ মে বিকেলের মধ্যে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। হুগলি বন্দরে সিগন্যাল নম্বর টু দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে সিগন্যাল নম্বর ফাইভ দেখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২ থেকে ৪ মের মধ্যে দিঘা, মন্দারমনি, বকখালি ও সাগরে না যেতে।
আট জেলার প্রশাসনকে সতর্কবার্তা
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের জেলা প্রশাসনকেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কাঁচা ও পাকা বাড়ির ক্ষতি হওয়া ছাড়াও, ঝড়ে কোনও কিছু উড়ে গিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে। গাছ পড়ে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। জনগণকে ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আয়লার স্মৃতি
২০০৯-এর ২৫ মে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। এরও বেগ ছিল ঘন্টায় ১০০ কিমির কাছাকাছি। ঝড়ের দাপটে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান ও কলকাতার।