'হাতে খড়ি' নিয়ে CV Ananda Bose বললেন, জয় বাংলা! 'বর্ণপরিচয়' দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিতর্ক সরিয়েই হাতে খড়ি দিয়ে বাংলা শেখার সূচনা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। গত কয়েকদিন আগেই বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে সিভি আনন্দ বোসকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বাংলার দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে রীতিমত উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এমনকি চিত্ত যে ভয় শূন্য পাঠ করে সদ্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলা শিখবেন। আর সেই সরস্বতী পুজোর দিনেই হাতের খড়ির মাধ্যমে বাংলা শেখার সূচনা হয়ে গেল রাজ্যপালের। গুরু হিসাবে বেছে নিলেন তিন খুদেকে।
বিতর্ক এড়িয়ে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান
তবে এই হাতে খড়ি এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়। এই অনুষ্ঠানে শাসক এবং বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। কার্যত ঐতিহাসিক মুহূর্তে সাক্ষী রাখতে চেয়েছিলেন সমস্ত মানুষকেই। যদিও বিষয়টিকে প্রথমদিন থেকেই ভালো ভাবে নেয়নি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর শেষ মুহূর্তেও এই অনুষ্ঠান এড়িয়েই গেলেন বিজেপি নেতারা। আসলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। তবে এই অনুষ্ঠানে না আসা নিয়ে বড়সড় ব্যাখ্যা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। যেখানে রাজনৈতিক কারণকেই তাঁর না আসা নিয়ে উল্লেখ করেছেন।
দুটি বর্ণপরিচয় তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী
তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন রাজ্যপালকে বাংলা শেখার জন্যে অভিভাদন জানান। পাশাপাশি দুটি বর্ণপরিচয় তুলে দেন। পরে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি যেরকম বাংলা শুরু করলেন, আমিও মালায়ালিতে অ আ লিখে দিতে পারি। আমিও শিখলাম! এমনকি বেশ কিছুটা মালায়াম ভাষাতেই কথা বলেন প্রশাসনিক প্রধান। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, ১৯৪০ এ গান্ধীজি বাংলা শিখতে শুরু করেছিলেন। গোপাল গান্ধী আমাদের প্রাক্তন রাজ্যপাল তিনিও বাংলা শিখেছিলেন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, এশিয়ায় বাংলা ভাষা দ্বিতীয়। বিশ্বে পঞ্চম। কিন্তু আমরা সব ভাষা শিখতে চাই।
এটাই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য
এটা খুব ভাল ভাবনা। স্থানীয় ভাষা শিখলে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ভাল করে মেশা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবিধানিক প্রধানের মুখে জয় বাংলা শ্লোগান
অন্যদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, আমি বাংলা শিখব... এমনকি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের মুখে জয় বাংলা শ্লোগানও শোনা যায়। বলে রাখা প্রয়োজন, দীর্ঘ কয়েক বছর রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সংঘাতের রাজনীতি দেখেছে বাংলার মানুষ। প্রশাসনিক স্তরে একাধিক কাজ নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে রাজভবন। যদিও সেই সংঘাত আজ অতীত! মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, আর কোনও সমস্যা হবে না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে। তবে তা যে স্পষ্ট এদিনের ছবি দেখে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।