'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান শেষ হতেই দিল্লিতে তলব আনন্দ বোসকে! 'সাক্ষাৎ' জল্পনা বাড়ালেন শুভেন্দু
হঠাত দিল্লিতে তলন সিভি আনন্দ বোসকে! কিন্তু কেন? বঙ্গ বিজেপির নালিশ দিল্লিকে? চড়ছে রাজনৈতিক তরজা।
রাজভবনে 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান শেষ হতেই দিল্লি তলব সিভি আনন্দ বোসকে। আজ বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকেই নাকি দিল্লি যাচ্ছেন সিভি আনন্দ বোস। হঠাত কেন তাঁর এমন জরুরি দিল্লি সফর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে নেয়নি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা। আর এরপরেই রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে রহস্য!
যদিও একটি সূত্রের দাবি, আনন্দের এই দিল্লি সফর পূর্ব নির্ধারিত।
তবে এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্যপাল দিল্লি যাচ্ছেন। আগামীকাল শুক্রবার অনেকের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। তবে কার সঙ্গে কি বৈঠক সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি বিরোধী দলনেতা। রাজভবনের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছু পড়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
আর সেখানে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি রাজ্যপালকে সতর্ক করব। যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তীর পাতা ফাঁদে না পা দেন। অন্যদিকে রাজ্যপালের মুখে জয় বাংলা স্লোগান নিয়েও আপত্তি তোলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, মেড ইন স্পীচ ছিল...আর তা নন্দিনী চক্রবর্তী লিখেদিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। আর সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই করেছেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর মতে, জয় বাংলা শ্লোগান ভারতের নয়। রাজ্যপালকে বোঝানো হয়েছে বাংলার জয়! জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান বলেও কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এটি রাজ্যপালকে দিয়ে বলিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। আগামিদিনে ওনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তখন ভারতমাতার জয় বলবেন বলেও দাবি নন্দীগ্রামের এই বিধায়কের। অন্যদিকে মানুষের করের টাকাতে এমন অনুষ্ঠান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শুভেন্দুর মতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে টি পার্টি পর্যন্ত ঠিক আছে। আমিও এমন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। করের টাকা খরচ করে এমন অনুষ্ঠান করার কোনও দরকার ছিল না বলেও মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে আগেই বিস্তারিত জানিয়ে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সেখানে তিনি লেখেন, রাজ্যপালের হাতে খড়ির ইচ্ছাকে রাজ্য সরকার সুচতুর ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেনিষ রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনিই রাজ্যপালের ইচ্ছাপূরণের অছিলায় মুখ্যমন্ত্রীর গোপন রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডাকে কার্যকর করার উদ্দেশে রাজ্যপালের কার্যালয়কে সুচতুর ভাবে ব্যবহার করেছেন বলেও টুইট করেন বিজেপি নেতা।