পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা! প্রত্যক্ষদর্শী বাঙালি জওয়ান জানিয়েছেন সেদিনের 'অভিজ্ঞতা'র কথা
পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সেই হামলা প্রত্যক্ষদর্শী সিআরপিএফ-এর ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জয় গঙ্গোপাধ্যায়।
পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সেই হামলা প্রত্যক্ষদর্শী সিআরপিএফ-এর ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জয় গঙ্গোপাধ্যায় বাঁকুড়ার সোনামুখির জয় গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্বশুরবাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরলেও, মত পড়ে রয়েছে কাশ্মীরে। জয় জানিয়েছেন সেই দিনের ভয়াবহতার কথা।
সিআরপিএফ-এর ১০৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জয় গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বিশাল কনভয়ের ৫ নম্বর গাড়িতে। তিনি জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল কনভয়ের তিননম্বর গাড়িতে আর চার নম্বর গাড়িতে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জয় জানিয়েছেন, জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথম ও দ্বিতীয় গাড়ি বেরিয়ে গেলেও তৃতীয় গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। একটি গাড়ির ধাক্কায় উড়ে যায় মাত্র একটি গাড়ির আগের গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে পরের গাড়িতে গুলি চালানো শুরু করে দেয় জঙ্গিরা।
জয় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কিছুক্ষণের জন্য হতবম্ব হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের মুভমেন্ট শুরু হয়ে যায়। এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এলাকার বাসিন্দাদের যাওয়ার জন্য রাস্তা পরিষ্কার করা ছাড়াও, আধিকারিকদের রক্ষার কাজও করেন তাঁরা। সেই সময় অনেকেই শহিদ। শহিদদের দেহ উদ্ধার করা ছাড়াও আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন:ভারতের তৎপরতায় আশঙ্কায় ইসলামাবাদ, রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি ইমরানের সরকারের]
সহযোদ্ধাদের অবস্থায় চোখে জল আসলেও, সামলে নিয়ে কাজ করতে হয়েছে তাঁদের। একসঙ্গে ট্রেনিং না হলেও, একসঙ্গে দিনের পর দিন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছএন তাঁরা। জানিয়েছেন জয় গঙ্গোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: 'ভারত হামলা করলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেবে', যুদ্ধের হুঁশিয়ারির সুর ইমরানের কণ্ঠে]