পিয়নের চাকরি করে কোটি কোটির সম্পত্তি, সিবিআই নজরে মালদার ডাক বিভাগের এই কর্মী
সিবিআই স্ক্যানারে ভারতীয় ডাক বিভাগের এক পিয়ন। ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকায় গোয়েন্দাদের নজরে এই সরকারি কর্মী। অভিযুক্ত এই কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, বাড়ি মালদায়।
সিবিআই স্ক্যানারে ভারতীয় ডাক বিভাগের এক পিয়ন। ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকায় গোয়েন্দাদের নজরে এই সরকারি কর্মী। অভিযুক্ত এই কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, বাড়ি মালদায়।
সম্পত্তি বেড়েই চলে। কখনও দ্বিগুণ, ৫০ গুণ, ১০০ গুণ, ৩০০ গুণ। কিন্তু ডাক বিভাগের এই কর্মীর সম্পত্তির বৃদ্ধির হার শুনলে চমকে যাবেন। যার সম্পত্তির বৃদ্ধির হার অনেককেই ছাপিয়ে গিয়েছে।
নিজের দেওয়া হিসেবেই গোয়েন্দাদের জালে জড়িয়েছেন মালদার ডাক বিভাগের কর্মী বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০০৮ সালে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৮ লক্ষ টাকা। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কাগজে কলমে তাঁর আয় বৃদ্ধি হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। এত স্বল্প সময়ে ৭ লক্ষ টাকা জমানোও মুখের কথা নয়। অর্থাৎ ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তিনি খরচ করেছেন মাত্র ৫ লক্ষ টাকা।
তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মীদের চক্ষু চড়ক গাছ। মালদার বুলবুলচণ্ডীতে গ্রামে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের প্রাসাদোপম যে বাড়ি রয়েছে, তার মূল্য কমপক্ষে ১.৬২ কোটি টাকা। যা তৈরি করা হয়েছে ২০১২ সালে। ২০১২ সালের একটি ডিড-এ যে মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে তা হল ৩.০৩ লক্ষ টাকা। একই বছরে ১.৪৯ লক্ষ টাকার অপর একটি ডিড-ও উদ্ধার করা হয়েছে অভিযুক্তের কাছ থেকেই। তবে সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়ে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ডাক বিভাগের এই কর্মী।
তবে এখানেই শেষ নয়। প্রাসাদোপম বাড়ি এবং একাধিক ডিড ছাড়াও আরও সম্পত্তি রয়েছে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের। ৪.৩ লক্ষ টাকায় তিনি একটি বিউটি পার্লার এবং স্পা সেন্টার কিনেছেন। এছাড়াও নিজের ও স্ত্রীর নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সেফ্টি ডিপোজিটও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর আধিকারিকদের মতে একমাত্র কালো টাকা ছাড়া শুধুমাত্র চাকরির টাকায় কারও এই পরিমাণ সম্পত্তি থাকা অসম্ভব।