রাজ্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণ! মাপকাঠি জানাল মমতার সরকার
রাজ্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। এবার তাঁর মাপকাঠির কথা জানাল সরকার। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের মাসিক আয় হতে হবে ৬৬,৬৬৬ টাকা।
রাজ্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। এবার তার মাপকাঠির কথা জানাল সরকার। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের মাসিক আয় হতে হবে ৬৬,৬৬৬ টাকা। ৫ একরের কম কৃষি জমি থাকতে হবে। শহর ও শহরতলিতে ১০০০ বর্গফুটের ছোট ফ্ল্যাট থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর এবার নির্দেশিকা জারি করলেন মুখ্যসচিব। এব্যাপারে কার্যত কেন্দ্রের মাপকাঠিই অনুসরণ করছে রাজ্য সরকার।
মাসের শুরুতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা
এমাসের শুরুর দিকে রাজ্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সংরক্ষণের কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছিল ১০ শতাংশ আসন চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংরক্ষিত থাকবে। সেইসময় এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার সম্মতির কথাও জানানো হয়েছিল।
এতদিন সংরক্ষণের আওতায় ছিলেন তপশিলি জাতি উপজাতিভুক্ত এবং ওবিসি তালিকাভুক্তরা। এবার থেকে রাজ্যে নতুন এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হল।
কেন্দ্রে সিদ্ধান্তের পথেই রাজ্য
এবছরের শুরুতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তখন জানানো হয়েছিল পরিবারের বাৎসরিক আয় ৮ লক্ষ টাকা, কৃষিজমি থাকলে ৫ একরের কম হতে হবে, ১০০০ স্কোয়ার ফুটের কম মাপের বাড়ি, পুরসভা এলাকায় ১০০ বর্গ গজের জমি, অন্য জায়গায় ২০০ বর্গ গজ পর্যন্ত জমি থাকবে এই সংরক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবার সেই পথই অনুসরণ করল রাজ্য সরকার।
এখনও পর্যন্ত সংরক্ষণের আওতায় যাঁরা
এই ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আগে পর্যন্ত ১৫ শতাংশ তপশিলি জাতি, ৭.৫ শতাংশ তপশিলি উপজাতি এবং ২৭ শতাংশ ওবিসিদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকেই ম্যাজিক! অনুব্রত গড়ে পঞ্চায়েত পুনর্দখল, শয়ে শয়ে কর্মী ফের তৃণমূলে]
[আরও পড়ুন: তৃণমূল থেকে আসা নেতারা কেন বিজেপি ছাড়ছেন! পর্দা ফাঁস করলেন দিলীপ ]