'উত্তীর্ণ'-তে সিপিএমের অনুষ্ঠান, মমতার সরকারের প্রস্তাব গ্রহণের পর 'অস্বস্তি' কাটিয়ে চলছে প্রস্তুতি
সিপিএম কোথায় সভা করবে,তার প্রস্তাব দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব তা গ্রহণও করল।
সিপিএম কোথায় সভা করবে, তার প্রস্তাব দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব তা গ্রহণও করল। গত ছয়বছরে বিভিন্ন সভার অনুমতি নিয়ে নানা অভিযোগ করলেও, এবার সরকারের প্রস্তাবে খানিকটা বিস্মিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
নভেম্বর বিপ্লবের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান
কলকাতায় নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপনের জন্য ৭ থেকে ১৭ নভেম্বর, এই দশদিনের কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব। তারই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ১৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠানের জন্য নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু চলচিত্র উৎসবের জন্য পাওয়া যাবে না নজরুল মঞ্চ। দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় ছিল মহাজাতি সদন। কিন্তু ওই দিন মহাজাতি সদনও আগে থেকেই অন্য একটি অনুষ্ঠানের জন্য বুক করা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শুরু হয় সৌজন্যের রাজনীতি। সূত্রের খবর, সরকারের তরফেই সিপিএমকে 'উত্তীর্ণ'-তে সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আলিপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের উল্টোদিকে তৃণমূল সরকারের আমলে পূর্ত দফতরের অধীনে তৈরি অ্যাম্ফিথিয়েটার 'উত্তীর্ণ'। মাস ছয়েক আগে যার উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তীর্ণ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে থাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীনে।
নব গঠিত মুক্ত মঞ্চ
২০০০ আসন বিশিষ্ট মুক্তমঞ্চে এখনও পর্যন্ত যা অনুষ্ঠান হয়েছে, সবই অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, রাজ্যে বামেদের তথা সিপিএমের অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই সেখানে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে।
আলিমুদ্দিনে চলছে প্রস্তুতি
এর আগে সিপিএম-সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বহুবার অভিযোগ করেছে, আবেদন করেও প্রয়োজনীয় সময়ে মিলছে না সরকারি হল। এবার অনুষ্ঠান করার জন্য খোদ সরকারের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে প্রথম দফায় অস্বস্তিতেই পড়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আপাতত সেই অস্বস্তি কাটিয়ে চলছে নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। ১৭ নভেম্বর সীতারাম ইয়েচুরির আলোচনা সভা দিয়ে শেষ হবে সেই অনুষ্ঠান।
[আরও পড়ুন: ৩-৪ বছরে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, আর কী বলছে নীতি আয়োগ]