সিপিএম শতবর্ষের মঞ্চে ‘একা’! অস্বস্তি এড়াতে ‘বন্ধু’ কংগ্রেসের সঙ্গে ব্রাত্য সিপিআইও
কদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বাম নেতাদের আগমন ঘটেছিল। রাজ্যে ফের বাম-কংগ্রেসের জোটের দামামাও বেজে গিয়েছিল সেই আলাপচারিতার ফলে। তারপরও ব্রাত্য কংগ্রেস।
কদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বাম নেতাদের আগমন ঘটেছিল। রাজ্যে ফের বাম-কংগ্রেসের জোটের দামামাও বেজে গিয়েছিল সেই আলাপচারিতার ফলে। মনে করা হয়েছিল শততম প্রতিষ্ঠা দিবসে সিপিএমের মঞ্চে দেখা যেতে পারে কংগ্রেসকে। কিন্তু সিপিএম কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না। এমনকী আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে আদি কমিউনিস্ট পার্টি সিপিআইকেও।
কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠা দিবস
১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে কমিউনিস্ট পার্টির শততম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের উদযাপন করা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। থাকবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। এই অনুষ্ঠানে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বামেদের ভূমিকা বিষয়ক আলোচনা করার কথা গবেষক চমন লালের।
শতবর্ষের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস-সিপিআই ব্রাত্য
সূর্ষকান্ত মিশ্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রাক স্বাধীনতা যুগে তো জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যেই বাম ও সমাজবাগী ধারা হিসেবে কাজ করতেন কমিউনিস্টরা। তাই শতবর্ষের অনুষ্ঠানে কি কংগ্রেসকে দেখা যেতে পারে। সূর্যকান্ত মিশ্র এ বিষয়ে বলেন, যাঁরা বলবেন, যাঁরা শুনবেন, যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে। কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
অস্বস্তি অতীত করে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ প্রস্তাব
বাম শিবিরের একাংশ আবার চাইছে পুরনো সব অস্বস্তি অতীত করে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হোক। কংগ্রেস-সিপিএম যখন সমাঝোতা করেই চলতে চাইছে, তখন অস্বস্তির কথা না আলোচনা করাই শ্রেয়। তা অতীত বলেই দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। তাহলেই জোটের মঙ্গল।
বিধান ভবনে ‘চায়ে পে চর্চার’ পর কীসের অস্বস্তি!
এই তো কিছুদিন আগে গান্ধীজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধানভবনে এক প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সিপিএম-সহ সমস্ত বামদলকে। সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা কংগ্রেস অফিসে জমিয়ে আড্ডা দেন। আলোচনাও সারেন। চায়ে পে চর্চা হয় উভয় দলের নেতৃত্বের মধ্যে। তাই এরপর অস্বস্তিসূচক কোনও আলোচনার অর্থ হয় না।
ভোটার তালিকা সংশোধন! বাড়ি বাড়ি যাবেন বুথ লেভেল অফিসাররা