অতীত থেকে 'শিক্ষা', রাজ্যে এবার নতুন জোট সিপিএম-এর
অতীত থেকে 'শিক্ষা', রাজ্যে এবার নতুন জোট সিপিএম-এর
অতীতের ভোটে লড়াই থেকে 'শিক্ষা' নিয়েই আসন্ন পুর নির্বাচনে নামতে চলেছে সিপিএম। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী ভোট এক জায়গায় করতে পুর নির্বাচনে কংগ্রেস, নকশাল-সহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমঝোতা করবে সিপিএম। আগামী সপ্তাহের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কলকাতা জেলা সিপিএম-এ। তারপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে অন্যদলগুলির সঙ্গে।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আসন পায়নি বামেরা
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে একটিও আসন পায়নি বামেরা। কলকাতার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বিজেপি। বামেরা তৃতীয়স্থানে। বাম নেতারা স্বীকার করে নিচ্ছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়াতেই এই পরিস্থিতি। একই মত কংগ্রেস নেতৃত্বের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই 'শিক্ষা' নিয়ে এগোচ্ছে বাম-কংগ্রেস।
কলকাতা নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের আগেই আসন ভাগাভাগির চেষ্টা
সূত্রের খবর অনুযায়ী সিপিএম নেতৃত্ব চাইছে, কলকাতা নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের আগেই আসন ভাগাভাগি করে ফেলতে। তার জন্য আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে চলেছে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। এরপরের বৈঠক হবে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে। কংগ্রেসের সঙ্গে সরকারিভাবে আলোচনা শুরু আগে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নিচ্ছে সিপিএম।
প্রকাশ হতে পারে যৌথ নির্বাচনী ইস্তেহার
শুধু আসন সমঝোতাই নয়, যৌথ নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের বিষয়টিও ভেবে দেখছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে বাম ও কংগ্রেসের নিজেস্ব ইস্তেহারের সঙ্গে যৌথ ইস্তেহার প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রার্থী করা হতে পারে সামাজিক সংগঠনের মুখকেও
জানা গিয়েছে, যদি কোনও ওয়ার্ডে বাম-কংগ্রেস কোনও প্রার্থী না পায়, তাহলে সেই ওয়ার্ডে কোনও সামাজিক সংগঠনের অরাজনৈতিক মুখকে প্রার্থী করবে।
২০১৫-র নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী ছিল ১০৬ টি আসনে
২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভায় ১৪৪ টি আসনের নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছিল ১৪৪ টি আসনে। এর মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল ১০৬ টি আসনে। সিপিআই, ফরওয়ার্ডব্লক, আরএসপির প্রার্থী ছিল যথাক্রমে ১৪,১১ ও ১০ টি আসনে।
বুনো হাতির মতো গুলি করে মারার নিদান বিজেপি জেলা সভাপতির, মামলা পুলিশের