জনসংযাগ বাড়াতে দুর্গোৎসবে সক্রিয় সিপিএম তৈরি করছে শারদ-শুভেচ্ছার কার্ড!
কলকাতা, ৭ অক্টোবর : এখন আর শুধু বইয়ের স্টলেই জনসংযোগ নয়, পুজোর ভিড়ে দর্শনার্থীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি সিপিএম। বিলম্বে হলেও বোধোদয় হল সিপিএমের। জনসংযোগের জন্য পুজোকে বেছে নিলেন যুব নেতা-কর্মীরা। এমনকী শারদ শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কার্ড তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হল। সত্যিই সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব এবার অন্যরকম ভাবছে।
২০১১-য় বাংলায় ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। তার আগেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে 'রেজিমেন্টেড' এই পার্টি। ক্রমেই জনসমর্থন হারাচ্ছে বুঝতে পেরেও, তখনও পার্টির নীতি থেকে এক ইঞ্চিও সরেনি তারা। তাই তো তারাপীঠে পুজো দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সুভাষ চক্রবর্তীকে। হজে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লার মতো মন্ত্রীরা।
ধর্মীয়
কার্যকলাপকে
কোনওকালেই
ভালচোখে
দেখেনি
সিপিএম।
এখন
ক্ষমতাচ্যুত
হয়ে
সেই
ধর্মীয়
অনুষ্ঠানকেই
জড়িয়ে
ধরতে
চাইছে।
২০১৬-য়
কংগ্রেসের
সঙ্গে
জোট
বেঁধেও
শোচনীয়
পরাজয়
আটকাতে
পারেনি
সিপিএম।
তৃণমূলের
ধাক্কায়
একেবারে
তিন
নম্বরে
নেমে
যেতে
হয়েছে।
বারবার পার্টি প্লেনাম ডেকেও আদতে কোনও লাভ হচ্ছে না। পার্টি প্লেনাম থেকে কোনও সাংগঠনিক সূত্র মিলছে না। পার্টির জনসংযোগের শিকড় ক্রমশ আলগা হচ্ছে দেখে এবার আর দেরি না করে বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজোকেই মাধ্যম করার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম।
জনসংযোগ বাড়াতে ভিড়ের মধ্যে মিশে দর্শনার্থীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া থেকে শারদ শুভেচ্ছায় কার্ডও তৈরি, সাম্প্রতিক প্লেনামে শুদ্ধিকরণের সেই বার্তাই দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। জনসংযোগে যে তারা তৃণমূলের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে, তা এতদিনে উপলব্ধি করতে পেরেছে সিপিএম। সেজন্যই সংকীর্ণতা ভেঙে জনপ্রিয়তা গড়ে তোলায় জোর দিতে চাইছে নেতৃত্ব। তবে কি কৌশলী হতে শুরু করেছে আলিমুদ্দিন? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।