'সিপিএম কণ্ঠরোধ করে', এবার অজন্তার পাশে ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা
'সিপিএম কণ্ঠরোধ করে', এবার অজন্তার পাশে ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা
কিছুদিন আগেই তৃণমূল মুখপত্র জাগোবাংলায় উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছিলেন প্রয়াত বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস৷ সে নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত বামেদের অভ্যন্তরে। তবে চলতি বিতর্কের মাঝেই অজন্তা পাশে পেলেন আরেক প্রয়াত বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামীকে। অজন্তার পাশে দাঁড়িয়ে সিপিএমকে সরাসরি স্ট্যালিনিস্ট দল বলে আক্রমণও করেছেন বসুন্ধরা৷
প্রয়াত আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা। ৩ অগাস্ট জাগোবাংলার উত্তর সম্পাদকীয় লেখেন তিনি। অজন্তার ওপর সিপিএমের শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। ঠিক সেই সময়েই সিপিএমের চরম সমালোচনা করেছেন পেশায় মনস্তত্ববিদ বসুন্ধরা গোস্বামী। তিনি লিখেছেন, 'ইতিহাসের অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাস জাগো বাংলায় একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তিদের নিয়ে এই লেখাটির পর সংবাদমাধ্যমে দেখছি সিপিএম আক্রমণ করছে অজন্তাকে। বলা হচ্ছে শো-কজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এসব দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।'
তাঁর মতে, উত্তর সম্পাদকীয়তে মোটেও ভুল কিছু লেখেননি অজন্তা। বসুন্ধরা সেই লেখাটিকে 'সুন্দর ও তথ্যসমৃদ্ধ'ও বলেছেন। ক্ষিতি কন্যা লিখেছেন, 'এটা বাস্তব যে, বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। অজন্তা এটা লিখে কোনও ভুল করেননি। জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় বিভাগও অজন্তার লেখায় বামপন্থীদের অংশ অটুট রেখে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।'
এরপরই বসুন্ধরা সরাসরি আক্রমণ করেছেন সিপিএমকে। তিনি লেখেন 'এই নিয়ে অজন্তাকে সিপিআইএমের আক্রমণ দেখে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি ওরা স্ট্যালিনিস্ট দল। ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ওরা কন্ঠরোধ করে। সিপিআইএমের এইসব আচরণ বহু প্রতিভাকে বামফ্রন্টের স্রোত থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। ওরা সবেতে চক্রান্তের গন্ধ পায়। বদনাম করে। তারপরে শাস্তির পথে যায়। এই খেলা মানুষ ধরে ফেলেছেন। প্রকৃত বাম মনোভাবাপন্ন মানুষ কোনও অবস্থায় এটা মানবেন না। এই করতে করতে বামফ্রন্টকে সব দিক থেকে শূন্যে নামিয়েছে সিপিআইএম। তাতেও শিক্ষা হয়নি। অনুশাসনের নামে কুপমুণ্ডুকের রাজনীতি করতে ব্যস্ত। চিন্তাভাবনাকে জনমুখী সময়োপযোগী করার কোনও চেষ্টা সিপিএমের নেই'৷
আবারও সেই দিলীপের সঙ্গে বিরোধ, বিজেপি ছাড়ছেন আরও এক নেতা
যদিও এর আগেই অজন্তা বিশ্বাসকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সিপিএমও। দলের একঅংশের বক্তব্য এটা এমন কোনও ব্যাপার নয়। আবার বিমান বোস, সুজন চক্রবর্তীদের মতো প্রবীণরা অজন্তার লেখার বিষয়টি মোটেও সন্তুষ্ট নন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কী অজন্তার বিরুদ্ধে সিপিএম কোনও ব্যবস্থা নেয় কি না!