বিজেপি কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে গণতন্ত্রকে, তৃণমূল আইসিইউ-তে, একই বন্ধনীতে রেখে তোপ সিপিএমের
বিজেপির 'ভার্চুয়াল সমাবেশে'র প্রতিবাদ সভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানাল সিপিএম। মঙ্গলবার সিপিএম বিজেপির ভার্চুয়াল ব়্যালি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। করোনার আবহে রাজ্যবাসীর দুর্ভোগের জন্য রাজ্য কেন্দ্রের শাসককে কাঠগড়ায় তোলে তারা।

রাজনীতি করছে বিজেপি ও তৃণমূল
সিপিএমের দাবি, রাজ্যের মানুষ যখন দুর্ভোগ পোষণ করছে তখন রাজনীতি করছে বিজেপি ও তৃণমূল। শাহের সমাবেশের বিরুদ্ধে শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তাঁরা জানায়, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি গণতন্ত্রকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পাঠিয়েছে আইসিইউয়ে।

শাহ 'শোনার বাংলা' (সোনার বাংলা) তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন
সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, রাজ্যবাসী যখন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, অর্থনৈতিক সংকট এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বিপর্যস্ত তখন শাহ তাঁদের কাছে ভোট চাইছেন। শাহ 'শোনার বাংলা' (সোনার বাংলা) তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে তিনি সিএএ এবং এনআরসি-র নামে দেশের বাংলাভাষী জনগণকে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক করার চেষ্টা করছেন।

তবু তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও সড়ক যোজনাসহ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও বিজেপি রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচুর শব্দ খরচ করছে, তবুও কেন্দ্র কোনও বিষয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।

বিজেপি এবং তৃণমূলের গাঁটছড়া, নিশানা সিপিএমের
তিনি বিজেপি এবং তৃণমূলকে একে অপরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধার অভিযোগ করেছেন। দেশে বর্তমান করোনভাইরাস সঙ্কটের মধ্যেও ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় দিনের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ দিনের করা জরুরি প্রয়োজন। তবে গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্রদের সুবিধার্থে কিছুই করা হচ্ছে না।

বিজেপিকে নিশানা সেলিমের
সেলিম দাবি করেন, দুর্গত অভিবাসী শ্রমিকদের দেখাশোনা করার পরিবর্তে নরেন্দ্র মোদী সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি আগ্রহী। যখন করোনা আক্রান্ত শতাধিক ছিল তখন দেশব্যাপী লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর যখন সংখ্যাটি দুই লাখ ছাড়িয়েছে তখন শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।